সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাজে ফেরার সময় বেঁধে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কর্মবিরতি প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কিন্তু তাতেও চিঁড়ে ভিজল না। পালটা রাজ্যকেই ডেডলাইন বেঁধে দিলেন আন্দোলনতর জুনিয়র চিকিৎসকরা। আগামিকাল বিকেল ৫টার মধ্যে তাঁদের পাঁচ দাবি মানতে হবে। তবেই তাঁরা কাজে ফেরার প্রস্তাব নিয়ে ভাবনাচিন্তা করবেন। সোমবার রাতে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনই জানালেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা।
পাঁচ দফা দাবিতে অনড় আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা, স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির পদত্যাগ। পাশাপাশি স্বাস্থ্যব্যবস্থার ‘দুষ্ট’চক্র নিয়েও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিবৃতিও দাবি করেছেন। এই সমস্ত দাবি নিয়ে মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় করুণাময়ী থেকে স্বাস্থ্যভবন অভিযানের ডাক দিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। বিকেল ৫টার মধ্যে দাবিপূরণ না হলে স্বাস্থ্যভবনের সামনেই অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থানে বসবেন চিকিৎসকরা। পাঁচ দফা দাবি কী কী?
এক, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় দোষীদের দ্রুত খুঁজে বের করা, অপরাধের উদ্দেশ্য সামনে আনা এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।
দুই, তথ্যপ্রমাণ লোপাটের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িতদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা।
তিন, কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েলের ইস্তফা।
চার, রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
পাঁচ, রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে কাজে ফেরার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। পালটা চিকিৎসকদের দাবি, আগামিকাল বিকেল পাঁচটার মধ্যে রাজ্য সরকার উপরোক্ত দাবিগুলি মেনে নিলে তবেই কাজে ফেরার প্রস্তাব ভাবনাচিন্তার পথে হাঁটবেন। অন্যথায় মনে করা হবে, রাজ্যের এই অচলাবস্থা কাটাতে সরকার আগ্রহী নয়।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে আন্দোলনকারীরা দাবি করেছেন, রাজ্যে বিনা চিকিৎসায় রোগীমৃত্যু নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে রাজ্য। তথ্য ও পরিসংখ্যান দিয়ে তাঁরা জানিয়েছেন, রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা বেহাল বলে যে দাবি করা হচ্ছে, তা সর্বৈব ভুয়ো। রাজ্য়ে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর খামতি নিয়েও সরব হয়েছেন তাঁরা।