এই সময়: আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় আন্দোলনে শামিল হয়েছেন ডাক্তাররা। একমাস ধরে হাসপাতালের মেন গেটে অবস্থান বিক্ষোভও চলছে। এরই মধ্যে গত ৪ সেপ্টেম্বর ওই হাসপাতালের হস্টেলের ঘরে তালা ভেঙে তাণ্ডব এবং চুরির অভিযোগ উঠল বহিরাগতদের বিরুদ্ধে। এক ইন্টার্ন চিকিৎসকের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে টালা থানার পুলিশ।কিন্তু, কে বা কারা এমন ঘটালো, উদ্দেশ্যই বা কী, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে ওই ইন্টার্ন পুলিশের অভিযোগ জানানো ছাড়াও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ এবং তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকেও বিষয়টি জানিয়েছেন। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের দাবি, বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার। অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা হোক।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক সারিফ হাসানের অভিযোগ, তাঁকে বেশ কিছুদিন ধরেই কয়েকজন ভয় দেখাচ্ছেন। হুমকি দিচ্ছেন। তাঁরা কেউ আরজি করের সঙ্গে যুক্ত নন। পাস করে গিয়েছেন। কয়েকজন অবাঙালিও রয়েছেন হামলাকারীদের মধ্যে। সংবাদমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, 'বাংলার মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন, এ কথা আমি বলেছিলাম। একই সঙ্গে ওই তরুণী চিকিৎসকের বিচারের জন্যও দাবি তুলেছিলাম। সে জন্য হয়ত এই হামলা। সিবিআইকে বিষয়টি জানিয়েছি।'
তাঁর আরও দাবি, ‘হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে সিআইএসএফ। তা সত্ত্বেও গত ৪ সেপ্টেম্বর ঘরে কয়েকজন বহিরাগত ঢুকে পড়েছিল। কী ভাবে বুঝতে পারছি না।’ এ বিষয়ে সিআইএসএফের হেড কোয়ার্টারকেও বিষয়টি জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক।
তাঁর অভিযোগ, ‘আমার রুম ভেঙে ভিতরে ঢুকে প্রত্যেকটা জিনিস তছনছ করেছে বহিরাগতরা। অনেক কিছু ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। সিআইএসএফ থাকার পরেও, যদি এমন হয়, তা হলে কোথায় যাব? আন্দোলনের পাশাপাশি চিকিৎসা পরিষেবা দিতে চাইছে যাঁরা, তাঁদেরও বাধা দিচ্ছেন বহিরাগতরা।’