আরজি করের ৫১ জন ডাক্তারের বিরুদ্ধে তদন্তের নোটিস জারি
এই সময় | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আরজি কর হাসপাতালের হাউস স্টাফ, জুনিয়র ডাক্তার-সহ ৫১ জনকে সাসপেন্ড করা হল। তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলবে। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর তদন্ত কমিটির সামনে তাঁদের হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। ততদিন পর্যন্ত তাঁদের হাসপাতালের যে কোনও কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকতে নিষেধ করা হয়েছে।যাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁরা ওই কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তাঁদের মধ্যে চিকিৎসক পড়ুয়া এবং আরএমও-রাও রয়েছেন। আরজি করের স্পেশাল কলেজ কাউন্সিল এ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সোমবার স্পেশাল কাউন্সিলের বৈঠক ছিল। বৈঠকের পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকের আলোচনায় উঠে আসে হাসপাতালের গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষা করার পক্ষে অনেকেরই আচরণ অনুকূল নয়। কারণ তাঁরা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই কারণেই ৫১ জন চিকিৎসককে তদন্ত কমিটির সামনে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ৫১ জনের মধ্যে ২০ জন হাউস স্টাফ। এছাড়াও আছেন দু’জন সিনিয়র রেসিডেন্ট, একজন রিসার্চ সায়েন্টিস্ট এবং ১১ জন ইন্টার্ন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একমাত্র তদন্ত কমিটি ডাকলে তবেই তাঁরা হাসপাতালে ঢুকতে পারবেন বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর পর থেকেই একাধিক আধিকারিক, ডাক্তারদের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। দীর্ঘদিন ধরে চলা হাসপাতালে ‘থ্রেট কালচার’ নিয়ে সরব হন তাঁরা।
আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার কথা বলা হলেও হাসপাতালে ‘ভয়ের পরিবেশ’ রয়েছে বলে অভিযোগ ছিল মেডিক্যাল পড়ুয়াদের। এর মাঝেই পড়ুয়াদের অভিযোগের ভিত্তিতেই কাউন্সিলের বৈঠকে ডাকা হয়েছিল।