• স্কুল চালাতে পুলিস আসে কেন, কেন পড়াশোনা ওঠে লাটে! বিক্ষোভের মুখে প্রধানশিক্ষিকা
    ২৪ ঘন্টা | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • বিধান সরকার: স্কুল চালাতে কঠোর হন প্রধান শিক্ষিকা, কথায় কথায় ডাকেন পুলিস, 'মানসিকভাবে হেনস্থা' করেন সবাইকে। তাই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ সহশিক্ষিকা ও অশিক্ষা কর্মচারীদের। পঠন-পাঠন লাটে তুলে বিক্ষোভে সামিল স্কুল পড়ুয়ারাও। শ্রীরামপুর রমেশ চন্দ্র গার্লস হাইস্কুলের ঘটনা। বিক্ষোভের খবর পেয়ে স্কুলে জড়ো হন অভিভাবকরা। বিক্ষোভকারী শিক্ষিকাদের সঙ্গে তাঁদের তুমুল বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। প্রধান শিক্ষিকা এবং সহশিক্ষিকাদের এই দ্বন্দ্বের ফলে স্কুলে পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন অভিভাবকরা।

    প্রধান শিক্ষিকা লোপামুদ্রা সাঁতরাকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, স্কুলের কম্পিউটার অপারেটর লাগাতার তাঁর কাজে ভুল করেন। সেই বিষয়ে তাঁকে বলতে গেলে অশিক্ষা কর্মচারীরা এবং স্কুলের সহ শিক্ষিকাদের একাংশ প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে চরাও হন। তাই সোমবার এই বিষয়ে একটি মিটিং ডাকেন প্রধান শিক্ষিকা। সেখানেই স্কুলের কেরানি সুব্রত মুখোপাধ্যায় তাঁকে হেনস্থা করতে থাকেন। তাই তিনি পুলিসে খবর দেন। এরই প্রতিবাদে মঙ্গলবার স্কুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সহশিক্ষিকা ও অশিক্ষা কর্মচারীরা। 

    স্কুলের কেরানি সুব্রত মুখোপাধ্যায় পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, 'যখন তখন শ্লীলতাহানির অভিযোগ করে ফাঁসিয়ে দেবেন বলে হুমকি দেন প্রধান শিক্ষিকা'। দুর্নীতির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, 'শুধু অভিযোগ করলেই হবে না, উনি প্রমান করুন। আমরাও চাই স্কুলটা ভালোভাবে চলুক কিন্তু সেটা উনি হতে দিচ্ছেন না। কম্পিউটারের যিনি কাজ করেন গত ১৪ বছর ধরে স্কুলের জন্য সময় দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। আমরা এইসব বিষয়েরই প্রতিবাদ জানাচ্ছি'। সহশিক্ষিকা নবনীতা দাস বলেন, 'কিছু হলেই প্রধান শিক্ষিকা পুলিস ডাকেন স্কুলে। এই অবস্থার মধ্যে স্কুলে কোনোভাবেই পড়ানো যায় না। তাই এর একটা বিহিত চাই।' প্রধান শিক্ষিকার অভিযোগ,স্কুলে নানারকম দুর্নীতি হয়, মিডডে মিলের হিসাব মেলেনা, নানারকম অন্যায় কাজ হয়, সেগুলো প্রতিবাদ করলেই তিনি খারাপ হয়ে যান। তিনি বলেন, স্কুলে যাতে ভাল পঠনপাঠন হয়, ছাত্রীরা যাতে যাতে ভালো রেজাল্ট করে, সেই চেষ্টাই তিনি করেন। আর তাতেই সবার এই সমস্যা। 

    উল্লেখ্য, এর আগেও স্কুলের উপস্থিতির খাতায় লাল দাগ দেওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষিকা লোপামুদ্রা সাঁতরাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্কুলের সহশিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা। অভিযোগ ছিল, স্কুলের এক সহশিক্ষিকা স্কুলে এলেও উপস্থিত খাতায় সই করতে ভুলে গেছিলেন, তাও প্রধান শিক্ষিকা খাতায় লাল দাগ দিয়ে দেন। প্রধান শিক্ষিকাকে এই বিষয়ে বলার পর তিনি লিখিত আবেদন করতে বললে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সকলে। 

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)