ওইসব সরঞ্জাম বাসে চাপিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের দীঘার কাছে রামনগর থানা এলাকার রামনগর বাসস্ট্যান্ডে এসে পৌঁছায় সে। রাত্রি নটার দিকে পৌঁছে একটি গুমটির আড়ালে প্রায় মধ্যরাত্রি পর্যন্ত অপেক্ষা করে। এরপর গ্যাস সিলিন্ডার সহ গ্যাস কাটার নিয়ে কাছেই রাস্তার উল্টো দিকে থাকা একটি সরকারি ব্যাংকের এটিএম এ ঢুকে পড়ে। রাত্রি ১২টার দিকে রাস্তাঘাট বাসস্ট্যান্ড শুনশান হয়ে গেলে ঢুকে পড়ে সে। এটিএম এর শাটার নামিয়ে দেয়। তার আগে শাটারের বাইরে লিখে দেয় এটিএম বিকল রয়েছে। এরপর চলে ৩ ঘন্টা ধরে চলে অপারেশন।
এটিএম এর সাইডে গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে ভেতর থেকে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। নিজে যেহেতু ইঞ্জিনিয়ার, টাকা কিভাবে কোথায় থাকতে পারে সেটা তার অজানা ছিল না। প্রায় ভোররাতে রাস্তায় যখন যান চলাচল মানুষজনদের চলাচলের শব্দ পায়, গ্যাস কাটার সরঞ্জাম এটিএম এর মধ্যে ফেলে কেবল টাকার ব্যাগ নিয়ে চম্পট দেয় ইঞ্জিনিয়ার যুবক।
ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ লুটের খবর জানতে পেরেই হইচই পড়ে যায় এলাকায়। রামনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিস সরঞ্জাম সিজ করে ঘটনাস্থলে এসে। পাশাপাশি তদন্ত শুরু করে দেয়। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে পুলিস অভিযান চালায়। গত ৮ মে এটিএম থেকে টাকা লুট করেছিল। প্রায় ৩ মাসের পর রবিবার হাবড়ার বাড়ি থেকে ধরা পড়ে যুবক। এর আগে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক শহরে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের এটিএমও লুট করার চেষ্টা চালিয়েছিল। যুবককে গ্রেফতারের পর কাঁথি আদালতে পেশ করে পুলিস। আদালতে নির্দেশে পুলিস হেফাজতে নিয়ে যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানতে পারে তার পরিস্থিতির কথা। সবকিছু সত্যি জানিয়েছে যুবক এমনটাই পুলিস মনে করছে।
একদিন দীঘায় বেড়াতে এসে রামনগর বাসস্ট্যান্ডে তার নজরে পড়েছিল একটি এটিএম, খুব নির্জনে রয়েছে এটিএমটি। সেই থেকেই সেটিকে টার্গেট করেছিল। তবে সঙ্গে আর কেউ ছিল কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিস। প্রাথমিক তদন্তে একাই সে এটিএম ভেঙেছে বলে মনে করছে পুলিস। আজ ছিল পুলিশের "পুনর্নিমাণ " তদন্ত। অভিনয় করে ঘটনাস্থলে কিভাবে সে এসেছিল এবং টাকা লুট করেছিল সবটাই দেখালো যুবক। পুলিস সূত্রে খবর জেলায় আরো কয়েকটি এটিএম লুট হয়েছে, সবটাই তদন্ত চলছে। রামনগর থানার ওসি অমিত দেব ও কাঁথি মহাকুমার সি আই এর নেতৃত্বে চলছে তদন্ত।