এদিন সন্দীপ ঘোষকে হেফাজতে চায়নি সিবিআই। জেল হেফজতের নির্দেশ দেওয়া হয় আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে। ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ। সন্দীপ সহ ৪ জনেরই এদিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এদিন আদালতে সিবিআই পিপি বলেন, সবার জন্য জেল হেফাজত চাইছি। ১৮৭ অফ বিএনএসসের অনুযায়ী জেল হেফাজতের আবেদন করা হচ্ছে। আরও কয়েকজনের ভূমিকা উঠে এসেছে। যাদের সঙ্গে সন্দীপের যোগ পাওয়া গিয়েছে। মোবাইল সহ অনেক ডিজিটাল এভিডেন্স পাওয়া গিয়েছে। সেগুলি স্ক্রুটিনি করার দরকার। অভিযুক্তদের সঙ্গে সন্দেহভাজনদের যোগসূত্র বুঝতে হবে। জেরার সময় টেন্ডার প্রক্রিয়ার কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি। বেশ কিছু সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। সেগুলিরও স্ক্রুটনি করা দরকার। সেগুলি সময় সাপেক্ষ। তাই এখন আপাতত জুডিশিয়াল হেফাজতের আবেদন করা হচ্ছে।
এদিন আদালতে সিবিআই জানায়, টেন্ডার প্রক্রিয়ায় গরমিল এবং নিয়ম বহির্ভূত কাজ বার বার করেছেন সন্দীপ ঘোষ। তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু তা নিয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি সন্দীপ ঘোষ। প্রসঙ্গত, এদিন সন্দীপ ঘোষের ব্যবহার করা ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। সন্দীপের বেলেঘাটার বাড়ি থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছিল ল্যাপটপ। আত্মীয়ের বাড়িতে সরিয়ে রাখা হয়েছিল সন্দীপের ব্যবহার করা ল্যাপটপ। যদিও শেষ পর্যন্ত ইডি তল্লাশিতে মিলেছে ল্যাপটপ। এই ল্যাপটপেই দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণ রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারী অফিসাররা। সূত্রের খবর, টেন্ডার সংক্রান্ত নথি রয়েছে ল্যাপটপে। এক্সেল ফাইলে রয়েছে প্রচুর টাকার হিসেব। ইতিমধ্যেই ইডির হাতে এসেছে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ডিজিটাল নথি। ঘেঁটে দেখা হচ্ছে ই-মেল। তবে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে ফেলার আশঙ্কাও করছে এজেন্সি। কোনও প্রমাণ মুছে ফেলা হয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।