পুলিস সূত্রে খবর, মৃত যুবকের পরিচয় জানা যায়নি এখনও। বসিরহাট শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ইছামতী নদীর পাড়ে যন্ত্রণায় রীতিমতো ছটফট করছিলেন তিনির ঘটনাটি নজরে পড়েছিলেন পথ চলতি অনেকেরই, কিন্তু সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি কেউ। মুখ ফিরিয়ে চলে যান সকলেই। শেষপর্যন্ত খবর পেয়ে ওই যুবককে বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানোর উদ্যোগ নেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি রানা দাশ। ঘটনাস্থল থেকে যে হাসপাতালের দূরত্ব মাত্র ১০০ মিটার। কিন্তু তার আগেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস।
এদিকে জুনিয়র চিকিত্সকের কর্মবিরতি জেরে আরজি করে 'বিনা চিকিত্সা'য় মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। মৃতের নাম বিক্রম ভট্টাচার্য। হুগলির কোন্নগরে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন ওই যুবক। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় শ্রীরামপুরের হাসপাতালে। সেখান থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কলকাতায়।
ঘড়িতে তখন ৯টা। শুক্রবার সকালে বিক্রমকে নিয়ে আরজি করে পৌছন পরিবারের লোকেরা। মা কবিতা ভট্টাচার্যের দাবি, 'সেদিন হাসপাতালে যাঁরা ছিলেন, আহত ছেলেকে নিয়ে তাঁদের কাছে বারবার অনুরোধ করি, ডাক্তার কোথায়? কিন্তু কেউ কিছু জানায়নি। আমি ছেলেকে নিয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা ছোটাছুটি করেছি। কিন্তু কোথাও ডাক্তার ছিল না। না ট্রমা কেয়ার ইউনিটে, না আউটডোরে। এখন ডাক্তারবাবুরা মিথ্যা কথা বলছেন। তাঁরা চিকিত্সা করেননি। যার জেরে আমার ছেলেকে হারিয়েছি'।