ঘটনাটি ঠিক কী? মৃতের নাম বিক্রম ভট্টাচার্য। হুগলির কোন্নগরে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন ওই যুবক। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় শ্রীরামপুরের হাসপাতালে। সেখান থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কলকাতায়। অভিযোগ, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে আরজি করে বিনা চিকিত্সায় মৃত্যু হয় বছর আটাশের ওই যুবকের।
ডক্টর ফোরামের পাল্টা দাবি, 'বিনা চিকিত্সায় মৃত্যুর অভিযোগ মিথ্যা'। এদিন সেই ডক্টর ফোরামের সদস্য পূর্ণব্রত গুনকে ফোন করে মৃত বিক্রমের মা কবিতা বলেন, 'ডাক্তারবাবুরা যদি বলেন, বিনা চিকিত্সায় মৃত্যু হয়নি, তাহলে তাঁরা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলছেন'। তাঁর দাবি, সেদিন হাসপাতালে যাঁরা ছিলেন, আহত ছেলেকে নিয়ে তাঁদের কাছে বারবার অনুরোধ করি, ডাক্তার কোথায়? কিন্তু কেউ কিছু জানায়নি। আমি ছেলেকে নিয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা ছোটাছুটি করেছি। কিন্তু কোথাও ডাক্তার ছিল না। না ট্রমা কেয়ার ইউনিটে, না আউটডোরে। এখন ডাক্তারবাবুরা মিথ্যা কথা বলছেন। তাঁরা চিকিত্সা করেননি। যার জেরে আমার ছেলেকে হারিয়েছি। এখন আমাকে মিথ্যাবাদী বানাচ্ছেন'।
এদিকে আরজি করে 'বিনা চিকিত্সা'য় যুবকের মৃত্যুতে সরব অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে তিনি লিখেছেন, 'আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে চিকিত্সকদের কর্মবিরতি কারণে কোন্নগরে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ৩ ঘণ্টা রক্তাক্ত অবস্থায় বিনা চিকিত্সায় পড়ে ছিলেন তিনি'। সঙ্গে বার্তা, 'জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি ন্যায্য। আমি তাঁদের অনুরোধ করছি, এমনভাবে প্রতিবাদ করুন,যাতে স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্য়াহত না হয়। অবহেলার কারণে মৃত্যু খুনের সমতুল্য। যদি প্রতিবাদ করতে হয়, তাহলে গঠনমূলকভাবে, সহানুভূতি ও মানবিকতার সঙ্গে কথা উচিত। অবহেলা ও নিষ্ক্রিয়তার কারণে কারও যেন জীবন সংশয় না হয়'।