অনুপম মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙার শক্তিপুর প্রাইমারি হেলথকেয়ারের জেনারেল ডিউটি মেডিকেল অফিসার। তাঁর থেকে টাকা চাওয়ার জন্য ২০২৩ সালে বর্ধমান থানায় অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের পশ্চিমবঙ্গ শাখার সদস্য এবং তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন ও শাসক দলের বিধায়ক নির্মল মাঝিকে চিঠিও দিয়েছিলেন। কিন্তু বিরূপাক্ষর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
অনুপমের আরও অভিযোগ, শুধু তাঁর কাছ থেকে নয়, বদলির নামে এভাবে বাকিদের থেকেও টাকা তুলেছেন বিরূপাক্ষ। অনুপমের অভিযোগ পাওয়ার পর বর্ধমান থানা থেকে তাকে তথ্য সহ হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। এমনকি, শান্তনু সেন এবং নির্মল মাঝি তাঁদের লেটার প্যাডে চিঠি লিখে তৎকালীন ডিজিপি মনোজ মালব্যকে বিরূপাক্ষর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন।
বর্ধমান মে়ডিক্যাল কলেজের প্যাথোলজি বিভাগের (এস আর) সিনিয়র রেসিডেন্স পদে কর্মরত ছিলেন বিরূপাক্ষ। হাসপাতালে চিকিত্সক ডা. গৌরাঙ্গ প্রামাণিক বলেন, 'তাঁর বদলির নির্দেশ ছিল ২০২৩ সালে ১ আগষ্ট। অথচ সেই বদলির নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এক বছর বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে থাকলেন। তিনি হাসপাতালে আসতেন না বলেই জানি'।
ওই চিকিত্সক জানান, 'নিয়ম অনুযায়ী যে হাসপাতাল থেকে ডাক্তারি পাস করেন, সেই হাসপাতালে এক বছর কাজ করতে হয় চিকিত্সকদের। তারপর অন্য হাসপাতালে ২ বছর'। তাঁর প্রশ্ন, 'কোন কারণে বদলির নির্দেশ সত্ত্বেও আরও এক বছর বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে থেকে গেলেন বিরুপাক্ষ বিশ্বাস? সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ সিন্ডিকেট সদস্য বলেই কি এত ক্ষমতা'? সঙ্গে অভিযোগ, 'বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। অথচ কর্তৃপক্ষ সব জেনেও ব্য়বস্থা নেয়নি'।