সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেও থামছে না আন্দোলন! কাজে যোগ দেওয়া তো দূর, ৫ দফা দাবিতে এবার স্বাস্থ্য ভবনের সামনের অবস্থান বিক্ষোভে জুনিয়র ডাক্তাররা। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, '৫টার পর আমাদের প্রশাসনের মাধ্যমে আন্দোলনরত চিকিত্সকদের কাছে খবর গিয়েছিল, যদি তাঁরা চান, তাঁরা আসতে পারেন কথা বলতে পারেন। ই-মেল গিয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের প্রধান সচিবের কাছ থেকে। ৬টা ১০ ইমেল গিয়েছে। ১০ জনকে আসার কথা বলা হয়েছিল, যদি তারা আসতে চান'।
চন্দ্রিমার কথায়, 'মুখ্যমন্ত্রী তাঁর নবান্নের চেম্বারে অপেক্ষা করছিলেন। যদি প্রতিনিধিরা আসেন অথবা দশের বদলে যদি আরও বেশি কেউ বলেন। কিন্তু আন্দোলনরত চিকিত্সকের কাছ থেকে কোনও খবর পাওয়া যায়নি। কারা আসবেন, কেউ আসতে চান কিনা, কোনও মাধ্যমেই কোনও খবর পাওয়া যায়নি। মেলের উত্তরে মেল আসেনি। ফলে মুখ্যমন্ত্রী ৭.৩০ পর্যন্ত অপেক্ষা করে নবান্ন থেকে বেরিয়ে গেলেন'।
এদিকে তখনও নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে শেষ হয়নি। জুনিয়র ডাক্তাররা জানান, 'আমরা কিন্তু এই বৈঠকের জন্য নবান্ন থেকে কোনও মেল আমাদের কাছে আসেনি। আমাদের কাছে এসেছে স্বাস্থ্য সচিবের মেল থেকে আসা একটি মেল। যদি বৈঠকে বসার সদিচ্ছা থাকত, তাহলে কিন্তু আরও ভালোভাবে, নমনীয়ভাবে ও সংবেদনশীলভাবে আমাদের ডাকতেন। আলোচনার পথ সবসময় খোলা, কিন্তু ৩২ দিন পর আজকে আমরা স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জমায়েত করছি, তাকে এইভাবে অপমানজনকভাবে ডাকা এটা কিন্তু আন্দোলনের স্পিরিটকে আঘাত করছে'।