সজল ঘোষ সংবাদমাধ্যমে বলেন, বাংলার ট্রাক মালিকরা এই ধর্মঘটে সামিল হলেও গোটা দেশের ট্রাক মালিকরা একে নীতিগত সমর্থন জানাচ্ছেন। পরিবহন শিল্প বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন। খতিয়ে দেখলে দেখা যাবে ট্রাক মালিকরা ইএমআই দিতে পারছেন না, বহু গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে, অর্ধেক গাড়ি কাটাইয়ে বিক্রি করে দিতে হচ্ছে। বহু গাড়ির মালিক সবজি বিক্রি করছে। আমাদের সংসার কীভাবে চলবে। আমাদেরও সংসার রয়েছে, আমাদেরও পুজো রয়েছে। আমাদের দেওয়ালের পিঠ ঠেকে গিয়েছে। এছাড়া আমাদের কোনও উপায় ছিল না। সরকার যদি আগে থেকে ভাবত তাহলে এই পরিস্থিতি হতো না। ধর্মঘট হচ্ছে বুধবার, বৃহস্পতি ও শুক্রবার। ওই ৭২ ঘণ্টা চাক্কা জ্যামের পর আমরা ঠিক করব পরবর্তীতে কী হবে। মোট ৭ লক্ষ ট্রাক ধর্মঘটে যাচ্ছে। মানণীয় মন্ত্রী আমাদের সঙ্গে অনেক কথা বলেছিলেন। কিন্তু আমাদের সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি। একদিকে পুলিসের জুলুম, একদিকে বিএলআরও-র জুলুম। এর জন্যই এই পথে নামতে বাধ্য হয়েছি।
ধর্মঘট নিয়ে রাজ্য ট্রাক মালিক সংগঠনের সহ সভাপতি সন্দীপ ঘোষ সরাসরি সরকার পক্ষকে হুশিয়ারি দেন। তার বক্তব্য, একাধিক ভাবে ট্রাক মালিকদের হেনস্থা করছে পুলিস। মিথ্যে কেস দেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি। তাই ওভারলোডিং বন্ধ, পুলিশি অত্যাচার বন্ধ, মিথ্যা কেস দেওয়া চলবে না, BLRO অত্যাচার বন্ধ করতে হবে, আন্ডারলোড থেকে টাকা নেওয়া চলবে না, গাড়ি বাতিল ১৫ থেকে বাড়িয়ে ২০ বছর করতে হবে, আন্তর্জাতিক পরিবহনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশী লোকদের অত্যাচার বন্ধ করার দাবি জানান। যদি সরকার তাদের দাবি না মানে সেক্ষেত্রে বৃহত্তর আন্দোলন তথা অনির্দিষ্টকালের জন্য ট্রাক বন্ধ করা হবে।
ইতিমধ্যে ব্যবসা সহ পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে একাধিক পন্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে যায়, সেক্ষেত্রে ধর্মঘটের দিন ফুলবাড়ি এবং চ্যাংরাবান্ধা বাংলাদেশ যাওয়ার দুই সীমান্তেই লরি বন্ধ থাকবে বলে তিনি জানিয়েছে। এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের যে কিছুটা সমস্যা হবে তা ভালোমতোই জানেন ট্রাক সংগঠনের সদস্যরা। তাই সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে ক্ষমা প্রার্থীও বলে জানিয়েছেন তিনি।