আরজি করের ঘটনার পর দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা কেউ এনিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। কেউ বেফাঁস মন্তব্য করেছেন। এনিয়ে বেকায়দায় পড়ে যায় দল। এনিয়ে জলঘোলা করতে শুরু করে বিরোধীরা। এনিয়ে সতর্ক রাজ্য সরকার।
একসময় আরজি কর নিয়ে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এনিয়ে ফোঁস করতে কোনও বাধা নেই। মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের পরই দেখা যায় কলকাতা ও জেলার নেতারা এনিয়ে আলটপকা মন্তব্য করে বসেন। এনিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। তাই সম্ভবত বিষয়টিকে আর বাড়াতে দিতে রাজী নয় মমতা।
উল্লেখ্য, প্রায় একমাস ধরে আন্দোলন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে? স্রেফ মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধই নয়, জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টও। সময়সীমা ছিল, আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টা। কিন্তু সেই সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও কাজে যোগ দিলেন না জুনিয়র ডাক্তাররা।
এদিন ৫ দফা দাবিতে স্বাস্থ্যভবন অভিযান করলেন আন্দোলনকারীরা। হাত প্রতীকী মস্তিষ্ক। করুণাময়ী থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভে স্বাস্থ্যভবন পর্যন্ত মিছিল করলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কিন্তু স্বাস্থ্যভবনে ঢুকতে না পেরে শেষপর্যন্ত রাস্তাতেই বসে পড়েন তাঁরা। সঙ্গে হুঁশিয়ারি, দাবি যতক্ষণ মানা হচ্ছে, ততক্ষণে স্বাস্থ্যভবনের সামনে চলবে না ধরনা। এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারীদের আলোচনার বসার বার্তা দিল স্বাস্থ্যভবন।