ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: ঘড়ির কাঁটা ছুঁয়েছে রাত দশটা। স্বাস্থ্যভবনের কাছে এখনও চলছে জুনিয়র চিকিৎসকদের অবস্থান। গিটার বাজিয়ে গানও চলছে। এই অবস্থায় স্বাস্থ্য কর্তারা খোঁজ নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা রাতে কী খাবেন। কোনও প্রয়োজন আছে কিনা। যদিও এই সাহায্যের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনকারীরা।
স্বাস্থ্য ভবনের ১০০মিটার দূরে চলছে এই অবস্থান বিক্ষোভ। ভবনের ভিতরে রয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা, স্বাস্থ্য অধিকর্তা-সহ কয়েকজন আধিকারিক। বস্তুত, এই প্রথম স্বাস্থ্য ভবনে অবরুদ্ধ স্বাস্থ্য কর্তারা। এদিকে রাতের দিকেই জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে এলেন কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক।
মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে যোগ দিতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু সেই নির্দেশ না মেনে স্বাস্থ্য ভবন অভিযান করেন তাঁরা। প্রতীকী শিরদাঁড়া হাতে লালবাজার অভিযানে যাওয়ার পর এবার স্বাস্থ্যভবন অভিযানে তাঁদের হাতে দেখা গিয়েছে প্রতীকী মস্তিষ্ক, ঝাঁটা। করুণাময়ী থেকে শুরু হওয়া মিছিল স্বাস্থ্যভবনের কাছে চলে আসে। এর পর সেখানেই অবস্থানে বসে পড়েন তাঁরা। জানিয়ে দেন, দাবি মানা না হলে এখানেই বসে থাকবেন।
বৈঠকের ডাক এসেছিল নবান্ন থেকে। অপেক্ষা করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই ডাক ফেরান আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। সাফ জানান, বৈঠকে আপত্তি নেই। কিন্তু ইমেলের ভাষা ‘অপমানজনক’। নবান্ন থেকে কোনও ইমেল আসেনি বলেও দাবি করলেন স্বাস্থ্যভবনের সামনে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের বক্তব্য, বৈঠকের জন্য যে ইমেল এসেছে তা পাঠিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব। আরও নমনীয়ভাবে তাঁদের ডাকা যেত বলেও দাবি জুনিয়র ডাক্তারদের। আন্দোলনকারীদের এহেন বার্তার পালটা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের প্রতিক্রিয়া, “ইমেল যেখান থেকেই করা হোক না কেন, আসতে বলা হয়েছিল নবান্নে।”