পারমিতা পাল: নীল আকাশে ভেসেছে সাদা মেঘের পাল। ফুটেছে কাশফুলও। কিন্তু বাংলার বাতাসে পুজো-পুজো গন্ধ নেই! বরং কান পাতলে শোনা যাচ্ছে প্রতিবাদী স্লোগান। চোখে পড়ছে দফায়-দফায় মিছিল। আর মোমবাতির পোড়া গন্ধে ম ম করছে রাজ্য। সকলের একটাই স্বর, বিচার পাক আর জি কর। প্রতি বছর এই সময়টা আকাশে চোখ রাখলেই দেখা মেলে রং-বেরঙের ঘুড়ির। শরতের মৃদুমন্দ বাতাসে ভাসে পেটকাটি, চাঁদিয়াল, মোমবাতিরা। তাদের রঙের বাহার মন কাড়তে বাধ্য। এবার আকাশে তাদের পাশে জায়গা করে নেবে ‘অভয়া’ও। ঘুড়ির গায়েও লেগেছে প্রতিবাদী স্বর। স্লোগানের আঁচে আকাশে উড়বে ‘বিচারে’র ঘুড়ি।
পাড়ায় পাড়ায় বসেছে ঘুড়ির দোকান। চোখে পড়ছে রং-বেরঙের ঘুড়ি। আর এতো রংয়ের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে কালো-ও। তার উপর মোটা সাদা অক্ষরে লেখা, ‘বিচার পাক অভয়া’। কোথাও লেখা, ‘জাস্টিস ফর আর জি কর।’ পাশে আঁকা সাদা মোমবাতি। প্রতিবাদী এই ঘুড়ির কাটতিও মন্দ নয়। ঘুড়ি প্রস্তুতকারক ‘ইন্ডিয়া কাইট’-এর তরফে জানানো হয়েছে, পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমে মাত্র ১০০টি ঘুড়ি বানিয়েছিল তারা। দাম রেখেছিল ১৫ টাকা। মাত্র দুদিনের মধ্যে সব শেষ এবার দ্বিতীয় দফায় বানানো শুরু করেছে তারা। আগামিকাল থেকেই বাজারে ফের দেখা মিলবে ‘অভয়া’ ঘুড়ির।
‘ইন্ডিয়া কাইট’-এর কর্ণধার অজিত দত্ত। আপাতত দেখভাল করেন তাঁর ছেলে সৈকত দত্ত। তিনি জানাচ্ছেন, “প্রতিবারই আমরা অন্যরকম ঘুড়ি বানানোর চেষ্টা করি। কখনও বিশ্বকাপ, কখনও ভোট। এবার আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ সর্বত্র। আমরাও বিচার চাই। ঘুড়ির মাধ্যমে সেই কথাই তুলে ধরতে চেয়েছি।” তাঁর কথায়, সবাই তো সবার মতো করে প্রতিবাদ করছেন। আমরাও বার্তা দিলাম, বিচার চাই।”
আর জি করের প্রতিবাদের আগুন সর্বত্রই ছড়িয়েছে। এবার দুর্গাপুজোয় আকাশে হরেক রঙের সঙ্গে মিশবে কালোও। আওয়াজ তুলবে, ”জাস্টিস ফর আর জি কর, বিচার পাক অভয়া।’