মানসিক ভাবে ভারসাম্যহীন এক যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট থানা এলাকায়। মঙ্গলবার এ নিয়ে চাঞ্চল্য এলাকায়। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রের খবর, অভিযুক্ত এবং নির্যাতিতা সম্পর্কে মামা-ভাগ্নি। দু’জনেরই বাড়ি বসিরহাট থানার একই গ্রামে। মামা একটি মুদিখানার দোকান চালান। সেই দোকানের পিছনে একটি ঘর আছে। সেখানেই মানসিক ভারসাম্যহীন যুবতীকে যৌন হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ।
সোমবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে পাড়ায় কিছু ক্ষণ ইতস্তত ভাবে ঘোরাঘুরি করে মামার দোকানে গিয়ে বসেছিলেন। মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ ভাগ্নিকে মামা তাঁর দোকানের পিছনের ঘরে গিয়ে বসতে বলেন। তার পরেই ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। যুবতীর বাবা দীর্ঘ ক্ষণ মেয়ে বাড়ি ফিরছে না দেখে তাঁকে খুঁজতে বার হন। খুঁজতে খুঁজতে শ্যালকের দোকানে যান তিনি। দোকানের দরজা খোলা ছিল। কিন্তু সেখানে কেউ ছিলেন না। তিনি দোকানে ঢুকে পিছনের ঘরে ঢুকেই চমকে যান। বাবাকে দেখে চিৎকার করতে শুরু করতে থাকেন মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ে। তখনই সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান অভিযুক্ত। এই মর্মে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার বাবা। পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে অভিযুক্ত পলাতক। তাঁর খোঁজ চলছে।