• লাভ কমছে, সরকারি সাহায্যের দাবি বীরভূমের প্রতিমা শিল্পীদের
    বর্তমান | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, সিউড়ি: পুজোর জন্য ক্লাবে অনুদানের টাকার অঙ্ক বেড়েই চলেছে। কিন্তু প্রতিমার দাম বাড়াতে পারছেন না বীরভূম জেলার মৃৎশিল্পীরা। আবার দিনের পর দিন প্রতিমা তৈরিতে প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বেড়েই চলেছে। যার জেরে প্রতি বছর মৃৎশিল্পীদের লাভ কমছে। সেজন্য মৃৎশিল্পী পরিবারের নবীন প্রজন্ম এই পেশার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে। পুজোর মুখে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে এই কাজ চালিয়ে যাওয়া মৃৎশিল্পীদের পক্ষে মুশকিল হয়ে পড়েছে। সেকারণে তাঁরা সরকারি সাহায্যের দাবি তুলেছেন।

    হাতে মাত্র আর মাসখানেক সময় রয়েছে। জেলার প্রায় প্রত্যেক মৃৎশিল্পীর কারখানায় এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে। বিভিন্ন পুজো উদ্যোক্তারা প্রতিমার বরাত দিয়েছেন। সিউড়ির একেরপল্লি মোড়, পুলিস লাইন মোড়, হাটজনবাজার, মহম্মদবাজার সহ নানা এলাকার মৃৎশিল্পীদের অভিযোগ, পুজো উদ্যোক্তাদের জন্য সরকারি অনুদান প্রতিবছর বাড়লেও তাঁরা প্রতিমার দাম বাড়াচ্ছেন না। বরং প্রতিমা নেওয়ার সময় আরও কিছু টাকা কম দিচ্ছেন উদ্যোক্তারা। অন্যদিকে, প্রতিমা তৈরির মাটি ট্রাক্টর পিছু সাড়ে ছ’হাজার থেকে সাতহাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সুতলি দড়ির দাম কেজি প্রতি ১১৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৩৫ টাকা। খড়, রং, সাজসজ্জা সহ প্রতিটি সামগ্রীর দাম অনেক বেড়েছে। পুজোর সময় একসঙ্গে প্রচুর প্রতিমা তৈরি করতে শিল্পীদের অনেক টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। সেজন্য মৃৎশিল্পীদের চড়া সুদে ঋণ নিতে হচ্ছে। এসব কারণেই লাভের গুড় পিঁপড়েয় খাচ্ছে বলে মৃৎশিল্পীরা অভিযোগ তুলেছেন। 

    সিউড়ির পুলিস লাইনের মৃৎশিল্পী সমীর পাল বলেন, পুজোর সময় আমরা প্রতিমা তৈরি করলে তবেই মণ্ডপে পুজো হয়। কিন্তু আমাদের দিকে রাজ্য সরকার বা পুজো উদ্যোক্তা-কেউই ফিরে তাকান না। প্রতিমার দাম বাড়ছে না। অথচ প্রতিমা তৈরির উপকরণের দাম প্রতি বছর বাড়ছে। রাজ্য সরকার বিভিন্ন ক্লাবকে দেওয়া অনুদান বাড়াচ্ছে। কিন্তু মৃৎশিল্পীদের কোনও সাহায্য করা হচ্ছে না।

    সিউড়ি একেরপল্লি মোড়ের মৃৎশিল্পী দীপঙ্কর নাগ বলেন, আমরা পিতৃপুরুষের পেশাকে আঁকড়ে রয়েছি। কিন্তু দিনের পর দিন এই শিল্পের প্রতি নবীন প্রজন্মের অনীহা বাড়ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)