• দাসপুরে কৃষ্ণ মন্দিরে যাওয়ার রাস্তা ঢালাই হওয়ায় খুশি বাসিন্দা ও ভক্তরা
    বর্তমান | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, ঘাটাল: বিজেপি যে রাস্তা পাঁচ বছরেও সংস্কার করতে পারেনি, তৃণমূল সেই রাস্তা কয়েক মাসের মধ্যে ঢালাই করে দিল। দাসপুর-১ ব্লকের সাগরপুরের নিতাই-গৌর আশ্রম থেকে কৃষ্ণমন্দির হয়ে নিমতলা পর্যন্ত রাস্তাটি ঢালাই হয়ে যাওয়ায় খুশি দাসপুর-১ ও দাসপুর-২ ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা। দাসপুর-২ গ্রামপঞ্চায়েতের সদস্য তথা ওই এলাকার বাসিন্দা কণিকা হাইত বলেন, ‘ওই রাস্তা দিয়ে প্রচুর মানুষ যাতায়াত করেন। কিন্তু রাস্তার অবস্থা খারাপ থাকার জন্য মানুষের যাতায়াতের অসুবিধা হতো। এর আগে আমাদের বুথ থেকে বিজেপি জিতেছিল। তারা ওই রাস্তাটি সংস্কারের বিষয়ে কোনও রকম উদ্যোগ নেয়নি। বর্তমানে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা খরচ করে রাস্তাটি ঢালাই করে দেওয়া হয়েছে।’ ওই বুথ থেকে ২০১৮-’২৩ মেয়াদে বিজেপির প্রতীকে নির্বাচিত হয়ে পঞ্চায়েত সদস্য হয়েছিলেন সন্দীপ হাইত। তিনি বলেন, ‘অভিযোগটি হাস্যকর। আমি ওই রাস্তাটি সংস্কারের বিষয়ে বহুবার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু তৃণমূলের বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধিরা কলকাঠি নেড়ে রাস্তাটি সংস্কার করতে দেননি। শুধু রাস্তা নয়, আমার মেয়াদে আমাকে অনেক কাজই করতে দেওয়া হয়নি।’

    দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত ওই রাস্তা দিয়ে দাসপুর-১ ব্লক ছাড়াও দাসপুর-২ ব্লকের দুবরাজপুর, হাজরাবেড়, ইসবপুর, রামনগর, কৈগেড়্যা, গোপালপুর, কামালপুর সহ বহু গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন। এছাড়াও ওই রাস্তার পাশে বছর তিনেক আগে সুদৃশ্য একটি কৃষ্ণ মন্দিরের উদ্বোধন করা হয়েছে। ঘাটাল মহকুমা ছাড়াও পড়শি জেলাগুলি থেকে  প্রত্যেক দিন প্রচুর ভক্ত মন্দিরে ভিড় করেন। কিন্তু রাস্তাটি বেহাল থাকার জন্য যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছিল। বর্ষার দিনে ওই রাস্তা দিয়ে কেউই যাতায়াত করতে চাইতেন না। ভক্ত সমাগম কম হতো।

    কণিকা বলেন, ‘আমি জেতার পরই কাজটিকে প্রাধান্য দিয়ে ওই রাস্তাটি সংস্কারের ব্যাপারে উদ্যোগ নিই। সম্প্রতি রাস্তা সংস্কারের কাজ শেষ হয়েছে। বহু মানুষ এখন হাসি মুখে ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছেন দেখে ভালো লাগছে।’সন্দীপের পাল্টা আক্রমণ, ‘আমার আমলে আমাকে কোনও কাজই করতে দেওয়া হয়নি। আমি একট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পদাধিকার বলে সভাপতি ছিলাম। সেখানে একটি কিচেন শেড তৈরির ক্ষেত্রেও জটিলতা তৈরি করেছিল তৃণমূল নেতৃত্ব।’ প্রসঙ্গত, দাসপুরের বিধায়ক মমতা ভুঁইয়া কৃষ্ণ মন্দির উদ্বোধন করতে গিয়ে বছর তিনেক আগে ছ’মাসের মধ্যে ওই রাস্তা ঢালাই করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেটাও বাস্তবায়িত হয়নি। বর্তমানে পথশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমেই রাস্তাটি ঢালাই করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)