• রণডিহায় অস্থায়ী ফেরিঘাটে ঝুঁকি নিয়েই যাত্রী পারাপার
    বর্তমান | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, মানকর: গলসি-১ ব্লকের চাকতেঁতুল পঞ্চায়েতের রণডিহা এলাকায় অস্থায়ী ফেরিঘাটে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে যাত্রী পারাপার। দামোদরের একদিকে বাঁকুড়া, অন্যদিকে পূর্ব বর্ধমান। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের সঙ্গে বাঁকুড়ার যোগাযোগের অন্যতম সহজ পথ এই ফেরি পারপার। রণডিহার এই ফেরিঘাটের উপর কয়েক হাজার মানুষ নির্ভর করেন। যাত্রীদের বক্তব্য, দুই বর্ধমান ও বাঁকুড়ায় যেতে হলে এই ফেরি পার হয়ে যাওয়াই সহজতম পথ। কিন্তু যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, নৌকায় পারাপার করা হলেও, লাইফ জ্যাকেট দেওয়া হয় না। যে কোনও দিন বিপদ ঘটে যেতে পারে। বিষয়টি দেখা হবে বলে জানিয়েছে গলসি-১ পঞ্চায়েত সমিতি। 

    দামোদরের একদিকে গলসির চাকতেঁতুল, বুদবুদ। অন্যদিকে বাঁকুড়ার সোনামুখী, বনগ্রাম। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রত্যেকদিন ভোর সাড়ে তিনটে থেকে ফেরি পরিষেবা শুরু হয়। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তা চলে। সোনামুখীর রাধামোহনপুর, ফকিরডাঙা, রাঙামাটির মতো বিভিন্ন গ্রামের বহু বাসিন্দা প্রতিদিন কাজের জন্য দামোদর পেরিয়ে দুই বর্ধমানের নানা জায়গায় যান। জলপথ ছাড়া দুর্গাপুর হয়ে যেতে প্রায় ৫০ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ পেরতে হয় যাত্রীদের। কিন্তু নিত্যযাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, এখানে যাত্রী প্রতীক্ষালয় নেই। ফলে বৃষ্টি হলে খুবই সমস্যায় পড়তে হয়। বাঁকুড়ার বাসিন্দা সুখেন মণ্ডল বলেন, বাঁকুড়ার দিকেও কোনও স্থায়ী ফেরিঘাট নেই। নদে জল বেড়ে গেলে যাত্রীদের সমস্যা হয়। 

    বাঁকুড়ার রাধামোহনপুর, নিত্যানন্দপুরের সব্জি বিক্রেতারা প্রতিদিন ভোরে নদী পেরিয়ে বুদবুদ, পানাগড় সহ বিভিন্ন হাটে যান। এক সব্জি বিক্রেতা বলেন, বাঁকুড়ার দিকে চাতালে অনেকটা অংশ যেতে হয়। জল থাকার ফলে চাতাল পিচ্ছিল হয়ে থাকে। স্থায়ী ফেরিঘাট হলে সমস্যা মিটবে। যাত্রীদের একাংশ অভিযোগ করে বলেন, নৌকায় পারাপার করা হলেও, লাইফ জ্যাকেট দেওয়া হয় না। বর্ষার সময়ে ফেরিঘাটে পারাপার করতে ভয় লাগে। যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। গলসির বাসিন্দা শেখ ইমান প্রায়ই ফেরিঘাট হয়ে বাঁকুড়ায় কাজে যান। তিনি বলেন, এই পথ দিয়ে সারা বছর ধরে বহু মানুষ যাতায়াত করেন। কিন্তু সবসময় নৌকা মেলে না। স্থায়ী ফেরিঘাট বা স্থায়ী সেতুর ব্যবস্থা করা হলে অনেকে উপকৃত হবেন। বিষয়টি নিয়ে গলসি-১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি অনুপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, পঞ্চায়েত সমিতির তরফে লাইফ জ্যাকেট দেওয়া হয়েছে। সেতুর বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)