• গ্রামে গ্রামে শিবির করে পেঁয়াজ কিনছে কৃষিজ বিপণন দপ্তর
    বর্তমান | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কালনা: বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে। পেঁয়াজের ঝাঁঝে ক্রেতাদের চোখে জল। তাই মানুষকে সুফল বাংলা স্টলে সুলভ মূল্যে পেঁয়াজ দিতে গ্রামে গ্রামে শিবির করে চাষিদের থেকে সরাসরি পেঁয়াজ কিনছে কৃষিজ বিপণন দপ্তর।

    সোমবার পূর্বস্থলী-১ ব্লকের বগপুর পঞ্চায়েতের মরুইডাঙায় শিবির করে ৪০ টাকা কেজি দরে ২৭ কুইন্টাল পেঁয়াজ কিনেছে এই দপ্তর। লক্ষ্য, সুফল বাংলা স্টলে ক্রেতাদের ন্যায্য মূল্যে পেঁয়াজ সরবরাহ। সেইসঙ্গে গ্রামগঞ্জে ঘরোয়া পদ্ধতিতে পেঁয়াজ সংরক্ষণে চাষিদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত সুফল বাংলার জন্য কালনা ১ ও ২, পূর্বস্থলী-১ ও ২ ব্লক থেকে ৮০০ কুইন্টাল পেঁয়াজ কিনেছে কৃষিজ বিপণন দপ্তর।

    এবার পেঁয়াজ ওঠার সময় ৮-১২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। অনেক চাষি ঘরোয়া পদ্ধতিতে বাড়িতে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করেন। তাতে এবার তাঁরা ব্যাপক লাভের মুখ দেখেছেন। ৮-১২ টাকার পেঁয়াজ এখন ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। কালনা মহকুমায় মীরপুর, কোলডাঙা, কুশোডাঙা, রামেশ্বরপুর, বগপুর, মরুইডাঙা, নান্দাই প্রভৃতি এলাকায় পেঁয়াজ চাষ হয়।

    কৃষিজ বিপণন দপ্তরের আধিকারিক রাকেশ চট্টোপাধ্যায় বলেন, জুন মাস থেকে পেঁয়াজ কেনা শুরু করেছে। এখনও পর্যন্ত কালনা মহকুমা থেকে ৮০০ কুইন্টালের বেশি পেঁয়াজ চাষিদের থেকে সরাসরি কেনা হয়েছে। ৩২-৪০ টাকা কেজি দর দেওয়া হয়েছে।

    কালনা মহকুমা কৃষি আধিকারিক পার্থ ঘোষ বলেন, ঘরোয়া পদ্ধতিতে কম খরচে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করে দাম বাড়লে অল্প অল্প করে বিক্রি করে চাষিরা ভালো লাভ পেতে পারেন। এবার শুরুতে পেঁয়াজ চাষে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। অনেকে ঘরোয়া পদ্ধতিতে পেঁয়াজ রেখে তিনগুণ বেশি দাম পাচ্ছেন। পেঁয়াজ সংরক্ষণের পরিকাঠামো তৈরিতে সরকার আর্থিক সাহায্য করে।

    পেঁয়াজ চাষি তমালকান্তি ঘোষ বলেন, এবার ফলন তেমন ভালো না হওয়ায় শুরুতে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল। কিন্তু কিছু পেঁয়াজ ঘরোয়া পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করায় এখন ভালো দাম পাচ্ছি। ক্ষতি পুষিয়ে কিছুটা লাভের মুখ দেখছি। পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য পরিকাঠামো গড়তে সরকারের আরও বেশি করে আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া দরকার।
  • Link to this news (বর্তমান)