• রাস্তা সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই বসেছে বোর্ড, সরব বাসিন্দা
    বর্তমান | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, মানকর: রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। অথচ বসে গিয়েছে বোর্ড। এনিয়ে কাজে বেনিয়মের অভিযোগ তুলছেন গলসি-১ ব্লকের পারাজ পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের একাংশ। কাজ সম্পূর্ণ না করে কীভাবে বোর্ড বসানো হল সেই প্রশ্নও তুলেছেন তাঁরা। ব্লক প্রশাসন বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পারাজ পঞ্চায়েতের সিমনোড়ী নাপিত পাড়া থেকে গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ঢালাই রাস্তা নির্মাণ হওয়ার কথা ছিল। পঞ্চম এসএফসি ফান্ড থেকে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা এই প্রকল্পের জন্য দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, রাস্তার কাজ কিছুটা করে আর শেষ করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে বেনিয়মের অভিযোগ তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকার বাসিন্দা অমর বটব্যাল বলেন, বোর্ডে লেখা আছে গ্রামের নাপিত পাড়া থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তা হবে। কিন্তু কিছুটা অংশ ঢালাই করে আর রাস্তাটি করা হয়নি। তিনি জানান, ওই বোর্ডটি রাতের অন্ধকারে লাগানো হয়েছিল। কেন পুরো রাস্তা করা হচ্ছে না, এই প্রশ্ন করলে আমাদের জানানো হয়েছিল পুরো রাস্তার টাকা দেওয়া হয়নি। যেটুকু অনুমোদন মিলেছে ততটা রাস্তা করা হয়ে গিয়েছে।

    স্থানীয় বাসিন্দা ছোটন বাউরি, শিবু বাউরিরা অভিযোগ করে বলেন, ওই রাস্তা দিয়ে প্রাথমিকের পড়ুয়ারা বিদ্যালয়ে যায়। বৃষ্টি হলেই কাদা হয়ে যায়। ফলে পড়ুয়াদের অসুবিধা হয়। স্কুলে যেতে চায় না। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, যেটুকু রাস্তা হয়েছে সেখানেও নিয়ম মানা হয়নি। অমরবাবু বলেন, রাস্তাটি ১২ফুট চওড়া হওয়ার কথা ছিল সেখানে সাত ফুট হয়েছে। ঢালাই ছয় ইঞ্চি হওয়ার কথা থাকলেও তিন ইঞ্চির করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা বাপন বাউরি বলেন, সম্পূর্ণ রাস্তা পাকা হলে সকলের সুবিধা হবে। রাস্তাটি দু’মাসেরও বেশি হয়ে গেল এভাবেই রয়েছে। অনিয়মের কথা জানিয়ে বর্ধমান জেলা পরিষদ ও গলসি ব্লক প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন এলাকার বাসিন্দারা। 

    স্থানীয়রা জানান, প্রশাসনের দ্বারস্থ হতেই সোমবার এক ব্যক্তি এক রঙ মিস্ত্রিকে নিয়ে বোর্ডটি মুছতে আসেন। কিন্তু এলাকার বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। যদিও ওই ব্যক্তি বলেন, বোর্ডে কাজ শুরু ও শেষের তারিখ লেখা নেই। সেটিই তিনি লিখতে এসেছেন। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, রাস্তার কাজে বেনিয়ম ধরা পড়তেই বোর্ডের লেখা পরিবর্তন করতেই তিনি এসেছিলেন।

    বিষয়টি নিয়ে বেনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে পারাজ পঞ্চায়েতের প্রধান পুষ্পা রুইদাস বলেন, যত টাকা অ্যালোটমেন্ট হয়েছে তত টাকারই কাজ হয়েছে। আমরা সঠিকভাবেই কাজ করেছি। গলসি-১ ব্লকের বিডিও জয়প্রকাশ মণ্ডল বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)