• নিয়মিত ডিউটি করেন না বহু সিনিয়র চিকিত্সক, বৈঠক মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের, পাঠানো হবে নোটিস
    বর্তমান | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: কোচবিহারের মহারাজা জিতেন্দ্রনারায়ণ মেডিক্যাল কলেজের বহু সিনিয়র চিকিৎসক ঠিকমতো ডিউটিই করছেন না। এঁদের মধ্যে একাংশ চিকিৎসক আবার এখানে কর্মরত থাকলেও মাসে মাত্র ১০-১২ দিন আসেন। এতে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। এই চিকিৎসকদের এবার চিহ্নিত করে নোটিস ধরানো হবে। মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের চিহ্নিত করতে শুরু করেছে। এই সংখ্যাটা কম করেও ৩০ জন বলে জানা গিয়েছে। মেডিক্যালের আউটডোরে প্রতিদিন গড়ে তিন হাজার রোগী আসেন। সেখানেও একাংশ চিকিৎসক নির্দিষ্ট সময়ে আসেন না। এতে রোগীরা হয়রানির শিকার হন। এই বিষয়েও মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ কড়া অবস্থান নিতে যাচ্ছে। 

    প্রিন্সিপাল, সুপার ও ডেপুটি সুপারকে নিয়ে গঠিত হয়েছে তিন সদস্যের একটি কমিটি। সেই কমিটি আউটডোরে নজরদারি চালাবে। আউটডোরে একটি অনুসন্ধান বিভাগ ও চিকিৎসকদের সঙ্গে একজন করে অ্যাটেনডেন্ট দেওয়া হবে। চিকিৎসকদের দেরি করে আসা, অনিয়মিতভাবে মাসে মাত্র কয়েকদিন কলকাতা থেকে এসে কাজ করে চলে যাওয়া সহ একাধিক বিষয় নিয়ে মঙ্গলবার মেডিক্যালে বৈঠক হয়। এমএসভিপি’র অফিসে সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রিন্সিপাল ডাঃ নির্মলকুমার মণ্ডল, রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় সহ চিকিৎসক ও আধিকারিকরা। 

    বৈঠক শেষ করে সুপার ডাঃ সৌরদীপ রায় বলেন, আউটডোরে কিছু চিকিৎসক দেরি করে আসছেন, তাঁদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। কলকাতা থেকে কিছু চিকিৎসক মাসে মাত্র ১০-১২ দিন আসেন। পর্যাপ্ত ডিউটি করেন না। তাঁদেরও চিহিত করা হচ্ছে। এবার নোটিস পাঠানো হবে। প্রয়োজনে ছুটি ও বেতন কাটা হবে। বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স দেখে এটা করা হবে। 

    রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান বলেন, আউটডোরে কিছু চিকিৎসক নিয়মিত দেরি করে বসেন বলে অভিযোগ রয়েছে। রোগী পরিষেবা অগ্রাধিকার দিতে হবে। এসব দেখার জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ডেপুটি সুপার বিষয়টি দেখে সকাল ৯টার মধ্যে রিপোর্ট করবেন। রোগী পরিষেবা কোনওভাবেই বিঘ্নিত করা যাবে না।
  • Link to this news (বর্তমান)