• প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা, চ্যারেঙ্গা নদীতে পাকা সেতুর দাবি আংরাভাষায়
    বর্তমান | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, নাগরাকাটা: চ্যারেঙ্গা নদী পারাপারে সাঁকোই ভরসা। নাগরাকাটার দুই নম্বর আংরাভাষা গ্রামপঞ্চায়েতের দক্ষিণ ধন্দাসিমলা বাসিন্দারা এভাবেই নদী পারাপার করছেন। সাঁকোতে প্রতিদিন দুর্ঘটনা ঘটছে। সমস্যা মেটাতে চ্যারেঙ্গা নদীতে পাকা সেতুর দাবি উঠেছে। দীর্ঘ পাঁচবছর ধরে প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে সেতুর দাবি জানানো হয়েছে। খতিয়ে দেখে সমস্যা মেটানোর আশ্বাস ছাড়া আর কিছু হয়নি এতদিনে। 

    বাসুদেব রায় নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, আমাদের চ্যারেঙ্গা নদীর উপর দিয়ে স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল যেতে হয়। পাঁচবছর আগে সেতু বন্যায় ভেসে যায়। তখন থেকেই আমরা ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করছি। স্থানীয় পূর্ণ মণ্ডল, সঞ্জয় রায়’রা বলেন, সাঁকো দিয়ে যাতায়াতে প্রতিদিন দুর্ঘটনা ঘটছে। কেউ সাইকেল নিয়ে পড়ে যাচ্ছে। কেউ বাইক নিয়ে। কারও মাথা ফেটে যাচ্ছে, কারও হাত-পা ভেঙে যাচ্ছে। প্রশাসন এসে আশ্বাস দিলেও চ্যারেঙ্গায় সেতু হয়নি। দুই নম্বর আংরাভাষা গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধান চাঁদবিনোদ রায় বলেন,  গ্রামপঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে উচ্চমহলে জানিয়েছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।

    নাগরাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সঞ্জয় কুজুর বলেন, সেতুর প্রপোজাল আমরা জেলাপরিষদে পাঠিয়েছি। অনুমোদন এলেই কাজ শুরু হবে। 

    পাহাড়ি খরস্রোতা নদীটি দক্ষিণ ধন্দাসিমলার বুক চিরে গিয়েছে। পাঁচ বছর আগে বন্যায় সেতু ভেঙে পড়ে। এরপরই স্বেচ্ছাশ্রমে গ্রামবাসীরা এই নদীর উপর সাঁকো তৈরি করেন। কিন্তু এই সাঁকোর উপর দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে বহু দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে। ধুমপাড়া বাজার, হাসপাতাল, স্কুল কলেজ সহ অন্যান্য প্রয়োজনে ধুমপাড়া যেতে হলে সাঁকোই ভরসা। তাই সকলের দাবি দ্রুত চ্যারেঙ্গা নদীর উপর সেতু তৈরি করা হোক।
  • Link to this news (বর্তমান)