• বর্ষায় মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করে নজির হিলির কৃষকের
    বর্তমান | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বালুরঘাট: অসময়ে বর্ষা মরশুমে তরমুজ চাষ করতেন না কৃষকরা। কিন্তু এই প্রথম বর্ষাকালেও মাচায় মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করে নজির গড়ল হিলি কৃষিদপ্তর। হিলি কৃষি বিভাগের পরামর্শে আড়াই বিঘে জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে ব্ল্যাক টাইগার জাতের তরমুজ চাষ করেছেন কৃষক বিকাশ বর্মন। এই গারনা এলাকা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগায়ো। এই এলাকায় পাট চাষে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পাট চাষের সময় জমি পড়ে থাকে। এতে কৃষকদের ক্ষতি হয়। তাই কৃষিদপ্তরের তরফে বিকল্প চাষে জোর দেওয়া হয়। আতমা প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের যাবতীয় পরামর্শ দেওয়া হয়। 

    জুন মাসে বীজ রোপণ করা হয়। পরিচর্যার ফলে প্রতিটি গাছে ব্যাপক হারে ফুল আসতে শুরু করে। এরপর ফল ধরার পর ৬৫ দিনের মধ্যেই গাছের তরমুজ বিক্রির উপযোগী হয়ে যায়। প্রতিটি তরমুজের ওজন তিন-চার কেজি। এই সময়ে তরমুজের ব্যাপক চাহিদা থাকায় ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। আড়াই বিঘা জমিতে ১৫ হাজার টাকা খরচ করে ১০ কুইন্টাল তরমুজের ফলন পেয়েছেন ওই কৃষক। আগামীতে চাষে খরচ অনেক কম হবে। নতুন করে মাচা, মালচিং, জমি তৈরি ব্যাপার থাকছে না। সীমান্ত এলাকার কৃষকরা যাতে আগামীতে অসময়ে তরমুজ চাষে এগিয়ে আসেন সেজন্য তাঁদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। হিলি ব্লক কৃষিদপ্তরের আধিকারিক আকাশ সাহা বলেন, হিলির সীমান্ত এলাকায় পাট চাষে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই কৃষকদের বিকল্প চাষ করার পরামর্শ দিচ্ছি। এবারে পরীক্ষামূলকভাবে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। তাতে আমরা সাফল্য পেয়েছি। যেমন ওজন বেশি তেমনি স্বাদে ভরপুর। আগামীতে পুরো সীমান্ত এলাকায় যাতে কৃষকরা তরমুজ চাষে এগিয়ে আসেন, সেই দিকে নজর দেওয়া হবে। কৃষক বিকাশ বর্মন বলেন, অন্য চাষের থেকে তরমুজ চাষ অনেক লাভজনক। কৃষিদপ্তরের সহযোগিতায় ব্যাপক লাভ পেয়েছি। এবারে যা খরচ হয়েছে আগামীতে সেই খরচ আর হবে না। এখন পর্যন্ত ৬ কুইন্টাল বিক্রি করেছি। এখনও চার কুইন্টাল জমিতে রয়েছে। বাজারে বেশ ভালো চাহিদা রয়েছে। এসময়ে তরমুজ খুবই কম পাওয়া যায়। তাই দাম ভালো পাচ্ছি।
  • Link to this news (বর্তমান)