• অধ্যক্ষ হয়েও বারুইপুরের চেম্বারে কীভাবে রোগী দেখতেন সন্দীপ, বিতর্ক
    বর্তমান | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বারুইপুর: আর জি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে জুড়ল বারুইপুরের নাম। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে এলাকায়। বারুইপুরের রেলগেট সংলগ্ন এক সেবায়তনে গত কয়েক বছর ধরেই নিয়মিত রোগী দেখতেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ। সরকারি হাসপাতালের অধ্যক্ষ হয়ে কীভাবে তিনি বারুইপুরে এসে প্রাইভেট চেম্বার চালাতেন তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। কারণ আইন অনুযায়ী তা করা যায় না। ইতিমধ্যেই একাধিক দুর্নীতিতে জড়িয়েছে সন্দীপ ঘোষের নাম। সেই তালিকা আরও বাড়ল। সেবায়তনের চিকিৎসকদের নামের তালিকায় ডাঃ সন্দীপ ঘোষের নাম থাকলেও প্রেসক্রিপশনে তিনি ডাঃ এস ঘোষ নাম ব্যবহার করতেন। স্থানীয়দের দাবি, প্রকৃত পরিচয় আড়াল করতেই সম্পূর্ণ নাম প্রেসক্রিপশনে লিখতেন না তিনি। সেবায়তনের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ২০০৮-২০১০ সাল থেকেই সন্দীপবাবু সেখানে আসতেন। প্রতি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক ঘণ্টা তিনি রোগী দেখতেন। আমরা এখানে বসার জন্য ওঁকে অফার লেটার দিয়েছিলাম। ওঁর কিছু তথ্য জমা দেওয়ার কথা ছিল আমাদের কাছে। কিন্তু তা উনি দেননি।      

    বারুইপুর পুরসভার চেয়ারম্যান শক্তি রায়চৌধুরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে এই সেবায়তন। তিনি বলেন, আমি নিজেই জানতাম না উনি এখানে আসতেন। আমিও এই ব্যাপারে সেবায়তনের সঙ্গে কথা বলব। তবে ৯  আগস্ট আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে নৃশংস খুনের ঘটনার পর প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নাম সামনে আসায় তড়িঘড়ি বারুইপুরের সেবায়তন কর্তৃপক্ষ চিকিৎসকদের নামের তালিকা থেকে প্রাক্তন অধ্যক্ষের নাম সরিয়ে দেয়। যদিও সেবায়তনে কোনও চিকিৎসক কখন আসেন তার কোনও রেজিস্টার খাতা না থাকায় প্রশ্ন উঠেছে। সূত্রের খবর, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে জুন মাস পর্যন্ত নিয়মিত এই সেবায়তনে আসতেন সন্দীপবাবু। ৫০০ টাকা ফি নিয়ে রোগী দেখতেন তিনি। তবে আগস্ট মাসে চেম্বারে এসেছিলেন কি না, সেই বিষয়ে মুখে কুলুপ সেবায়তনের। 
  • Link to this news (বর্তমান)