• প্র্যাকটিক্যালের নম্বর দিতে পারবেন না স্যাক্টরা, ক্ষোভ, রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা ঘিরে সংশয়
    বর্তমান | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বটানির স্নাতক স্তরের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার নম্বর দেওয়ার শিটে সাবজেক্ট টিচার হিসেবে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর বা অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ছাড়া কেউ সই করতে পারবেন না। আর সই থাকবে বহিরাগত পরীক্ষকের (এক্সটার্নাল এগজামিনার)। বারাসতের পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এরকম নির্দেশে বিতর্ক তৈরি হয়েছে স্টেট এইডেড কলেজ টিচারদের মধ্যে। তবে, বিষয়টি শুধু বিতর্কেই থেমে নেই। পরীক্ষা আয়োজন নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। স্টেট এইডেড কলেজ টিচাররা (স্যাক্ট) অসম্মানিত বোধ করে পরীক্ষায় অংশ নিতে চাইছেন না। 

    অর্ডারে লেখা রয়েছে, আন্ডার গ্র্যাজুয়েট বোর্ড অব স্টাডিতে আলোচনার ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই বার্তা সমস্ত কলেজের অধ্যক্ষ এবং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষদেরও দেওয়া হয়েছে। জুলাই মাসে অর্ডারটি হলেও তা প্রত্যাহার করা হয়নি। ফলে বিতর্কও মেটেনি। কারণ স্যাক্টদের দিয়েই অধিকাংশ কলেজের বিভিন্ন বিভাগ চলছে। অনেক জায়গায় তাঁরা বিভাগীয় প্রধানও বটে। এরকম অর্ডারের পরে সিবিসিএস পদ্ধতির ইভেন সেমেস্টারের পরীক্ষা রয়েছে। তাতে অনেক স্যাক্টই সই করতে চাননি। কোথাও অধ্যক্ষ আবার কোথাও বিভাগীয় প্রধানরা বুঝিয়ে সই করেছেন। কোথাও আবার তা হয়নি। চলতি মাসের শেষের দিকে চার বছরের স্নাতক স্তরের সেমেস্টার পরীক্ষা রয়েছে। তার আগে উপাচার্যের কাছে এ নিয়ে দরবার করতে চাইছে স্যাক্ট শিক্ষকদের সংগঠন কুটাব। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুচন্দ্রা চৌধুরী বলেন, ‘এই অর্ডার খুবই অসম্মানজনক। বেশ কিছু কলেজের শিক্ষকদের সঙ্গে আমরা বৈঠক করেছি। তাঁদের কোনও কারণ জানায়নি বিশ্ববিদ্যালয়। তাই আমরা উপাচার্যের কাছে যাব।’

    অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য সৌরেন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এরকম নির্দেশের কথা আমার জানা নেই। কেন এমন অর্ডার দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে খোঁজ নেব। অর্ডারে সাবস্ট্যানটিভ পোস্টের কথা উল্লেখ থাকলে সেখানে স্যাক্টদের সই করার কথা নয়। অথচ বিভিন্ন বিভাগ তাঁদের উপরেই নির্ভরশীল।’ এনিয়ে অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক দপ্তরের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। বটানি ইউজি কাউন্সিলের কোনও সদস্য বা সচিবের সঙ্গেও কথা বলা যায়নি।
  • Link to this news (বর্তমান)