• রান্নাপুজোয় পাতে ইলিশ পড়বে তো? চিন্তায় খাদ্যরসিক বাঙালি
    বর্তমান | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: এক সপ্তাহ বাদেই বিশ্বকর্মা পুজো। সেদিন আবার রান্নাপুজো। মা মনসার আরাধনা করে ভাদ্র সংক্রান্তিতে হয় রান্নাপুজো। সেই প্রসাদ গ্রহণ করা হয় পরের দিন অর্থাৎ পয়লা আশ্বিন। সেদিন অরন্ধন। রান্নাপুজোর মেনুতে মূল আকর্ষণ হল ইলিশ মাছ। দুপুর, রাতের মেনুতে উঠে আসে ইলিশের বিভিন্ন পদ। কিন্তু রুপোলি শস্য মিলবে তো, তা নিয়েই চিন্তায় আম বাঙালি। কারণ বারবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মাঝ সমুদ্র থেকে ফিরতে হচ্ছে মৎস্যজীবীদের। হাওয়া অফিস ফের নতুন করে খারাপ আবহওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে। ফলে আগামী সপ্তাহে কয়েকদিন সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে পারবে না ট্রলারগুলি। এই অবস্থায় বিশ্বকর্মা পুজোর আগে বাজারে ইলিশের জোগান থাকবে কি না, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।

    বড় করে রান্নাপুজোর আয়োজন করেন কাকদ্বীপের অশোক মিশ্র। তাঁর বাড়িতে এই উপলক্ষ্যে এলাহি আয়োজনের ব্যবস্থা হয়। পাত পড়ে প্রায় ৪০০ জনের। স্বাভাবিকভাবেই এই দিনে তাঁর বাড়িতে ২৫-৩০ কেজি ইলিশ লাগে। তিনি বলেন, প্রতিবার পুজোর এক সপ্তাহ আগে থেকেই ইলিশ মাছ কিনে ফ্রিজে রেখে দেন। কারণ রান্নাপুজোর দিন মাছের দাম থাকে আকাশছোঁয়া। তবে এবার এখনও ইলিশ মাছ কিনতে পারেননি তিনি। মাছের জোগান কই? একটার পর একটা দুর্যোগ আসছে, আর মৎস্যজীবীরা মাঝপথে ট্রলার নিয়ে ফিরে আসছেন। পুজোর দিন কী করব, বুঝে উঠতে পারছি না। আরেক বাসিন্দা পবিত্র মিস্ত্রি বলেন, গত বছরও রান্নাপুজোর এক সপ্তাহ আগে বাজারে সেভাবে ইলিশের জোগান ছিল না। কিন্তু পুজোর একদিন আগে স্থানীয় মাছ বাজারে পর্যাপ্ত ইলিশ উঠেছিল। এ বছর এখনও পর্যন্ত সেভাবে ইলিশের দেখা নেই। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সব ট্রলার ফিরে এসেছে। ফলে পুজোর আগের দিন ইলিশ পাওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে।

    এ প্রসঙ্গে সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। ৯-১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুর্যোগের আশঙ্কা থাকায় সমুদ্রে ট্রলার নিয়ে যাওয়া যাবে না। তার কয়েকদিন পর রান্নাপুজো। এত কম সময়ের মধ্যে চাহিদা পূরণ করার সম্ভাবনা খুবই কম।
  • Link to this news (বর্তমান)