• দু’মাস পেরলেও পুলিসকে গুলির ঘটনায় অধরা অভিযুক্তরা, উঠছে প্রশ্ন
    বর্তমান | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বারুইপুর: গত জুলাই মাসে কুলতলিতে নকল সোনার কারবারি সাদ্দাম সর্দারকে একটি প্রতারণার মামলায় ধরতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয়েছিল পুলিসকে। ওই ঘটনায় তিন পুলিস কর্মী জখম হয়েছিলেন। পুলিসকে লক্ষ্য করে গুলি চালনার অভিযোগ উঠেছিল সাদ্দামের ভাই সাইরুল সর্দারের বিরুদ্ধে। সেই সাইরুল এখনও অধরা। পাশাপাশি, পুলিসের উপর হামলাকারী অন্য অভিযুক্তদেরও হদিশ পায়নি পুলিস। দু’মাস পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় কুলতলি থানার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বারুইপুর পুলিস জেলার এক আধিকারিক বলেন, অভিযুক্তরা পলাতক। তাদের খোঁজে নিয়মিত তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস।

    গত ১৬ জুলাই কুলতলির পয়তারহাটে নকল সোনার কারবারি সাদ্দামকে ধরতে গিয়ে পুলিসকে আক্রান্ত হতে হয়েছিল। সেই সময় বাড়ির মহিলা ও পুরুষরা চড়াও হয়েছিল পুলিসের উপর। সাদ্দামের ভাই সাইরুলের কাছে অস্ত্র আছে জানতে পেরে তাকে ধরতে পুলিস এগতেই সে গুলি চালায়। এই সুযোগে সাদ্দামকে ছিনিয়ে নিয়ে পালায় পরিবারের লোকজন। এই ঘটনার কয়েকদিন পর মূল অভিযুক্ত সাদ্দাম সর্দারকে পুলিস গ্রেপ্তার করলেও তার ভাইকে ধরতে পারেনি। এমনকী, পুলিসের উপর হামলায় অভিযুক্ত ও নকল সোনার কারবারে সাদ্দামের সঙ্গী আয়েদ আলি মোল্লা ওরফে বোটো, ছাকাত আলি সর্দার, শাহজাহান সর্দারের টিকি খুঁজে পায়নি পুলিস।

    পুলিসের উপর হামলায় ২৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তার মধ্যে মাত্র চারজনকে পুলিস ধরতে পেরেছিল। কেন পুলিস বাকিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাহলে কি ওই অভিযুক্তরা ভিন রাজ্যে কিংবা বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছে? নাকি পুলিস গা ছাড়া মনোভাব দেখানোয় তারা বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে? এই সব প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।
  • Link to this news (বর্তমান)