• উত্তর ২৪ পরগনায় শেষ তৃণমূলের সার্ভে, পুজোর আগে বদলের ইঙ্গিত
    বর্তমান | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: পুরসভা ভিত্তিক প্রথম পর্যায়ের সার্ভের কাজ আপাতত শেষ তৃণমূলের। সেই রিপোর্ট জমাও পড়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। এই সার্ভে করতে গিয়ে একাধিক তথ্য উঠে এসেছে তৃণমূলের তদন্তকারীর টিমের কাছে। বেশিরভাগ পুরসভার সিংহভাগ কাউন্সিলারের নেই নিজস্ব অফিস। যেখানে সব রাজনৈতিক দলের মানুষ গিয়ে পুর-প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। তাছাড়া তৃণমূলের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, টাউন প্রেসিডেন্ট ও কাউন্সিলারদের কাজে কিছুটা হলেও অসন্তুষ্ট টিমের সদস্যরা। কারণ একাধিক কাউন্সিলারের নামে জমা পড়েছে একাধিক অভিযোগ। আর তা নিয়েই ময়নাতদন্ত শুরু করতে চলছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

    সদ্য শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচনে শহর এলাকায় বিপর্যস্ত তৃণমূল। এক্ষেত্রে দলীয় নেতাদের ‘মাতব্বরি’ দায়ী বলে মনে করেছে দলের একাংশ। পাশাপাশি দলের নেতাদের সঙ্গে মানুষের বিচ্ছিন্নতা হারের অন্যতম কারণ বলে ধরে নিয়েছে দল। তাই শীর্ষ নেতৃত্ব এক্ষেত্রে কড়া অবস্থান গ্রহণ করতে চলেছে। সেই মোতাবেক শুরু হয় সার্ভের কাজ। তাই পুরসভা ধরে ধরে রিপোর্ট সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে রাজ্য তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের দু’টি টিম নামে সার্ভের কাজে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দু’টি টিম পৃথকভাবে এই কাজ করে। একটি টিম সরাসরি পুরসভার চেয়ারম্যানকে ফোন করে নির্দিষ্ট একদিনে সমস্ত কাউন্সিলারকে উপস্থিত থাকার কথা বলে। ওই নির্দিষ্ট দিনে কাউন্সিলারদের আলাদা করে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। 

    বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তাঁর এলাকার জন্য পুরসভার চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান কেমন সময় দেন বা দলের টাউন প্রেসিডেন্ট কতটা সক্রিয়। এছাড়া জানতে চাওয়া হয়, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান বা টাউন প্রেসিডেন্টের পরিবর্তন জরুরি কি না? জানতে চাওয়া হয় নিজের ওয়ার্ডে কাউন্সিলারদের অফিস রয়েছে কি না। তবে, বারাসত মহকুমার বিভিন্ন পুরসভার অনেক কাউন্সিলার নিজেদের কাউন্সিলার অফিস নেই বলে জানিয়েছেন। ভরসা দলের ওয়ার্ড কার্যালয়। তবে, কাউন্সিলারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ওয়ার্ডে অফিস করার। এ নিয়ে বারাসত পুরসভার এক কাউন্সিলার বলেন, আমাকে প্রায় দেড় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জেরা করা হয় পুলিসের মতো। চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও টাউন প্রেসিডেন্টকে নিয়ে আলাদা আলাদা বৈঠক হয়েছে। 

    হাবড়া পুরসভার এক মহিলা কাউন্সিলার বলছেন, সরকারি পরিষেবার দিকটি নিয়ে ওঁরা আমাদের বেশি প্রশ্ন করেছেন। তাছাড়া এলাকার কাজে কোনওভাবে হস্তক্ষেপ না করার কথা বলা হয়েছে। জেলা তৃণমূলের এক নেতা জানিয়েছেন, রিপোর্ট জমা পড়ে গিয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দপ্তরে। আর এক্ষেত্রে কোনও নেতার সুপারিশ গ্রহণ করা হচ্ছে না। গ্রাউন্ড রিপোর্টের ওপর নির্ভর করেই হয়তো পুজোর আগে রদবদল হতে পারে।
  • Link to this news (বর্তমান)