• সন্ধ্যা নামলেই যশোর ও টাকি রোড নেশার আখড়া, ক্রমশ বাড়ছে রোমিওদের উৎপাত
    বর্তমান | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: যশোর ও টাকি রোড বারাসত শহরের গুরুত্বপূর্ণ দু’টি সড়ক। তবে গুরুত্বপূর্ণ হলেও সন্ধ্যার পর এই দুই সড়কের পাশে রোজ নেশার আসর বসে। বেড়ে যায় রোমিওদের দাপাদাপিও। তারা বাইক চালিয়ে এসে মহিলাদের কটূক্তি ছুড়ে দেয়। সবমিলিয়ে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে ওঠে। এর ফলে সাধারণ মানুষের যাতায়াত ক্রমশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। পুলিসের নজরদারির অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ। নিরাপত্তা বৃদ্ধির দাবি তুলেছে সাধারণ মানুষ। 

    বারাসত শহরে ঢুকতে যশোর ও টাকি রোড গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। বারাসত ছুঁয়ে যশোর রোড গিয়েছে বনগাঁ। টাকি রোড চলে গিয়েছে বসিরহাট হয়ে রাজ্যের সীমান্ত অঞ্চলে। এই দুই রাস্তায় প্রতিদিনই বহু মানুষ যাতায়াত করেন। তবে বিকেলের পর সন্ধ্যা থেকে ভারী যানবাহনের সংখ্যা কমে যায়। বেড়ে যায় অফিস ফেরতা মানুষের সংখ্যা। বারাসত শহর পেরলেই যশোর ও টাকি রোড। তা ফাঁকা হয়ে পড়ে। দূরে কয়েকটি গ্রাম রয়েছে। এই দু’টি সড়কে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নেই। ফলে সেই সুযোগে রোমিওদের দাপাদাপি যায় বেড়ে। সন্ধ্যা সাতটা বাজলেই বহুমূল্য বাইক নিয়ে যুবকদের দাপাদাপি শুরু হয়। রাস্তার দু’দিকে গাছতলায় দাঁড়িয়ে মাদক নেওয়া চলে। মাঝেমধ্যে পুলিস নজরদারি চালায়। তবে রাতে তাদের দেখা মেলে না বলে বক্তব্য মানুষের। টাকি রোডে পীরগাছার পর গোটা রাস্তা প্রায় ফাঁকা। কয়েকটি বাজার আছে। সেখানেও উৎপাত রোমিওদের। দীর্ঘদিন ধরেই এই ঘটনা ঘটে চলেছে। এছাড়া যশোর রোডে বামনগাছির পর থেকে একই অবস্থা। রিয়া পুরকাইত, সন্দীপ রায় নামে দুই স্থানীয় বাসিন্দার বক্তব্য, ‘আর জি কর কাণ্ডের পর মধ্যমগ্রামে পুলিস সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পুলিসের মহিলা টিম ঘুরে সাধারণ মানুষকে অভয় দিচ্ছে। কিন্তু বারাসত শহর ছাড়িয়ে তাদের দেখা যায়নি। ফলে ভয় কাটছে না। পুলিসের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া একান্ত জরুরি।’ বারাসত পুলিস জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার স্পর্শ নীলাঙ্গী অবশ্য বলেছেন, ‘যে অভিযোগ উঠছে তা নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ 
  • Link to this news (বর্তমান)