• রায়পুর মোড় থেকে চড়িয়াল: পিচ উঠে রাস্তায় বড় বড় গর্ত, রাতে ঘুটঘুটে অন্ধকারে বাড়ছে দুর্ঘটনাও
    বর্তমান | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বজবজ: রায়পুর মোড় থেকে চড়িয়াল– এই দীর্ঘ ১৩ কিলোমিটার রাস্তা তিনটি ব্লককে যুক্ত করেছে। এই তিন ব্লকে শুধু নয়, বজবজ এবং পুজালি পুরসভাতে পৌঁছতে হলেও এই রাস্তাই একমাত্র ভরসা। কিন্ত দীর্ঘদিন ধরে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। খানাখন্দে ভরা এই রাস্তা নিয়ে নিত্যযাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই। এমনিতে অটোরিকশই এই রাস্তায় বেশি চলাচল করে। কিছুদিন আগে দু’টি সরকারি বাস এই রাস্তায় চলা শুরু করেছে। তবে সেটিও সকালে দু’টি ও বিকেলে দু’টি চলে। ফলে অটোরিকশ ছাড়া রায়পুর মোড় থেকে চড়িয়াল হয়ে বজবজ স্টেশন পর্যন্ত যাতায়াতের বিকল্প কোনও যান নেই।

    এদিকে, পিচের পলেস্তারা উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত হয়ে যাওয়ায় এই রাস্তায় চালকদের অটো চালাতে খুব সমস্যা হচ্ছে। একজন অটোচালকের সঙ্গে এ নিয়ে কথা হচ্ছিল। ক্ষোভের সুরে তিনি জানালেন, তিন-চারমাস ধরে এই রাস্তাটি ভাঙছে। এর মধ্যেই বড় বড় ডাম্পার ও পণ্যবাহী ট্রাক যাতায়াত করছে। তার উপরে এই ভাঙন বাড়িয়ে দিয়েছে বর্ষার জল। রাস্তার পাশে নিকাশিও ভালো নেই। ফলে জল জমে পিচ আরও উঠে যাচ্ছে। সন্ধ্যার পর বেশি সমস্যা হয় গাড়ি চালাতে।

    এছাড়া এই ১৩ কিলোমিটার রাস্তা চকমাণিক, নর্থ বাওয়ালি, সাউথ বাওয়ালি এবং নিশ্চিন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এত বড় রাস্তায় কোনও আলো নেই। ঘুটঘুটে অন্ধকারে দুর্ঘটনা আরও বাড়ছে। বিষ্ণুপদ মণ্ডলের বাড়ি রায়পুর মোড়ে। তিনি প্রতিদিন অটো করে চড়িয়াল হয়ে বজবজের ট্রেন ধরেন। তাঁর কথায়, খুব খারাপ রাস্তা। বিশেষ করে চকমাণিকের কাছে, বাওয়ালি ন’বিঘা পোল, বাওয়ালি বড় পোল, বিড়লা মোড়ের কাছে রাস্তা বেশি খারাপ হয়েছে। এজন্য একটু রাত হলেই কমে যায় অটোর সংখ্যা। কয়েকমাস আগে ভাঙা অংশে ঝামা ইট দিয়ে প্যাচওয়ার্ক করা হয়েছিল। কিন্ত তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই। পূর্তদপ্তরের এক বরিষ্ঠ বাস্তুকার বলেন, বর্ষার কারণে এখনই কাজ করার উপায় নেই। তবে এই রাস্তা সংস্কারের জন্য অর্থদপ্তরের কাছে ফাইল পাঠানো হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)