এই সময়: কোনও লাইসেন্স ছাড়াই এ রাজ্যে কুকুর বিক্রি এবং প্রজননের অভিযোগ পেয়ে বিষয়টিকে অত্যন্তকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যের যে সব দোকানে এমন কুকুর বিক্রি হয়, সেগুলির কোনও লাইসেন্স না থাকা নিয়ে দায়ের জনস্বার্থ মামলায় হাইকোর্ট রাজ্যের বক্তব্য তলব করেছে। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, বিষয়টা স্পর্শকাতর।আদালতের অভিজ্ঞতা, কুকুর বিক্রেতারা সারাদিন এমন ভাবে ওই কুকুরগুলির গায়ের লোম আঁচড়ায় যে অনেক সময়ে লোম উঠে গিয়ে চামড়া বেরিয়ে পড়ে। এ রাজ্যে কুকুর প্রজনন এবং বিক্রির ক্ষেত্রে লাইসেন্স না থাকার অভিযোগ নিয়ে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর শুনানিতে রাজ্যকে বক্তব্য জানাতে হবে। গত কয়েক বছরে পোষ্য হিসেবে বাড়িতে কুকুর রাখার প্রবণতা বেড়েছে।
লকডাউনের আবহে ওয়ার্ক ফর্ম হোমের দিনগুলিতে, বাড়ি থেকে না বেরোতে পারার পরিস্থিতিতে মানসিক অবসাদ দূর করতে কুকুরের সঙ্গ পাওয়ার প্রবণতা বাড়ে বহু নাগরিকের। রাজ্যে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কুকুরের ব্যবসাও। অথচ প্রিভেনশন অফ ক্রুয়েলটি টু অ্যানিম্যালস (ডগ ব্রিডিং অ্যান্ড মার্কেটিং রুলস ২০১৭ ও পেট শপ রুলস ২০১৮) আইন অনুযায়ী এ রাজ্যে কুকুর প্রজনন বা বিক্রি হয় না বলে হাইকোর্টে মামলা করে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
আইনজীবীর অভিযোগ, দোকানে দোকানে যেমন সব্জি বিক্রি হয়, তেমনই এ রাজ্যে লাইসেন্সবিহীন দোকান থেকে কুকুর বিক্রি করা হয়। কুকুর বিক্রির জন্যে যে ভাবে বিক্রেতারা ভিডিয়ো করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করেন, তা আদালতের নজরেও এসেছে বলে জানান বিচারপতিরা। আদালতের বক্তব্য, রাজ্যের এই নিয়ে কী অবস্থান, তা আগামী শুনানিতে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে। আদালত মনে করে, মামলাকারী সংগঠনটি যে দাবি তুলেছে তা গুরুত্বপূর্ণ। তাই রাজ্যকেও বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।