পুলিশের পারমিশন ছাড়া প্রতিবাদ মিছিল হলে আইনি স্টেপ?
এই সময় | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
এই সময়: আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে মিছিল-সমাবেশ এখনও লাগাতার চলছে। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়া দেখে রাস্তায় নামছেন আট থেকে আশি সব বয়সের নাগরিকরা। কখনও মিছিল, কখনও জমায়েত বিকেল থেকে সন্ধ্যা হয়ে চলছে গভীর রাত পর্যন্ত। এই ধরনের কোনও মিছিল-জমায়েতে পুলিশের অনুমতি নেই বলে দাবি লালবাজারের।পুলিশের বক্তব্য, ‘এতে সাধারণ মানুষ ভুক্তভোগী হচ্ছেন। আটকে যাচ্ছে অ্যাম্বুল্যান্সও।’ সামনেই দুর্গাপুজো। নিরাপত্তা এবং ট্র্যাফিকের কারণে অনুমতিহীন মিছিল বা জমায়েত হলে এ বার থেকে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করার কথা ভাবছে লালবাজার।
গত ১৪ অগস্ট থেকে ‘রাত দখল’ কর্মসূচি শুরু হয়েছে শহরে। এর পর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মিছিল এবং সমাবেশ হয়েই চলেছে। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগানের সঙ্গে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল চলছে শহরের নানা প্রান্তে। কোথাও আবার কয়েক কিলোমিটার জুড়ে মানববন্ধন হতেও দেখা গিয়েছে।
পুলিশের দাবি, এর ফলে যানজট হচ্ছে শহরে। হিমশিম খেতে হচ্ছে ট্র্যাফিক পুলিশকে। বহু মানুষ এই মিছিলের কারণে নিজেদের ভোগান্তিরও কথা জানিয়েছেন। এমনকী, মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে কেউ কেউ নিগৃহীত হয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠছে।
লালবাজারের বক্তব্য, ‘যে কোনও ইস্যুতে শহরে মিটিং-মিছিল এবং সমাবেশ করতে হলে আগে থেকে অনুমতি নিতে হয়। পরিস্থিতি এবং এলাকা বুঝে তার অনুমতি মেলে। সে জন্য একটি নির্দিষ্ট ফর্ম রয়েছে। তাতে মিছিলের রুট, কারা নেতৃত্বে রয়েছেন, কত জন অংশগ্রহণ করতে পারে, সে সব উল্লেখ করতে হয়। এর পর ওই এলাকার ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করা হয়।’ কিন্তু আরজি করের ঘটনার পর যে সমাবেশ বা মিছিল হচ্ছে, তা প্রধানত হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুকের মাধ্যমে সংগঠিত হচ্ছে।
কলকাতা পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘হাসপাতালের ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং আমরা সকলে ন্যায় বিচারের পক্ষে। তবে বিনা অনুমতিতে মিছিল বা সমাবেশ হলে, জনজীবনে তার প্রভাব পড়ে। আমরা তাই অনুরোধ করছি, সামাজিক মাধ্যমে মিছিলের ডাক না দিয়ে, নিয়ম মেনে চলুন। প্রতিবাদ মিছিল করতে হলে পুলিশের অনুমতি নিন। অন্যথায়, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’