মুর্শিদাবাদের জলঙ্গীর ভাদুড়িয়াপাড়ার বাসিন্দা দীন মহম্মদের অভিযোগ তাঁর ছেলেকে যাদবপুরের এক বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করে দেওয়ার জন্য বিরূপাক্ষ প্রথমে ৩ লক্ষ ও পরে ৫ লক্ষ টাকা নেন। দেখানো হয় ভর্তি সংক্রান্ত ভুয়ো কাগজপত্র। ২০২১ সালের জুলাই মাসে এনিয়ে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়।
উল্লেখ্য, বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে পড়ুয়াকে হুমকি দেওয়া থেকে শুরু করে চিকিত্সককে বদলি করার জন্য টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বদলির জন্য তার বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুললেন ডাক্তার অনুপম মণ্ডল।
ডাক্তার অনুপম মণ্ডল মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙার শক্তিপুর প্রাইমারি হেলথকেয়ারের জেনারেল ডিউটি মেডিকেল অফিসার। তাঁর থেকে টাকা চাওয়ার জন্য ২০২৩ সালে বর্ধমান থানায় অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের পশ্চিমবঙ্গ শাখার সদস্য এবং তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন ও শাসক দলের বিধায়ক নির্মল মাঝিকে চিঠিও দিয়েছিলেন। কিন্তু বিরূপাক্ষর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
অনুপমের আরও অভিযোগ, শুধু তাঁর কাছ থেকে নয়, বদলির নামে এভাবে বাকিদের থেকেও টাকা তুলেছেন বিরূপাক্ষ। অনুপমের অভিযোগ পাওয়ার পর বর্ধমান থানা থেকে তাকে তথ্য সহ হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। এমনকি, শান্তনু সেন এবং নির্মল মাঝি তাঁদের লেটার প্যাডে চিঠি লিখে তৎকালীন ডিজিপি মনোজ মালব্যকে বিরূপাক্ষর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন।
বর্ধমান মে়ডিক্যাল কলেজের প্যাথোলজি বিভাগের (এস আর) সিনিয়র রেসিডেন্স পদে কর্মরত ছিলেন বিরূপাক্ষ। হাসপাতালে চিকিত্সক ডা. গৌরাঙ্গ প্রামাণিক বলেন, 'তাঁর বদলির নির্দেশ ছিল ২০২৩ সালে ১ আগষ্ট। অথচ সেই বদলির নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এক বছর বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে থাকলেন। তিনি হাসপাতালে আসতেন না বলেই জানি'।