আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে, গত ৩২ দিন সাধারণ মানুষ আপনাদের পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। একথা মাথায় রেখে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে কাজে যোগ দিতে হবে জুনিয়র ডাক্তারদের। আইন মেনে চলা প্রতিটি নাগরিকের উচিত ওই নির্দেশ মেনে চলা। কিন্তু তা করা হয়নি। তবে আশাকরি আপনারা শীঘ্রই কাজে ফিরবেন। রাজ্য সরকারের তরফে আমাদের আবেদন আপানারা কাজে যোগ দিন। সাধারণ মানুষকে চিকিত্সা পরিষেবা দিন।
জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতি চিঠিতে আবেদন করা হয়েছে, আশাকারি আপনারা খোলা মনে আলোচনা করবেন। সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিতে ও স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকেশক্ত করতে আলোচনা ইতিবাচক জরুরি। আমরা ফের আপানাদের প্রতিনিধিদলকে আহ্বান জানাচ্ছি। আজ সন্ধে ৬টা আপানার আসুন। আপানাদের প্রতিনিধি দলে ১২-১৫ জন থাকলে ভালো হয়। প্রতিনিধি দলে কারা থাকবেন তাদের নাম পাঠান।
উল্লেখ্য, আজ দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে গতকাল স্বাস্থ্য সচিবের পাঠানো মেইলের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, গতকাল মিডিয়ায় মানণীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর বয়ান থেকে জানতে পারি মুখ্য়মন্ত্রী নাকি আমাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সবিনয়ে জানাতে চাই গতকাল ৬টা ১২ মিনিটে যে মেইল হেলথের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রিটারির পক্ষ থেকে আমাদের কাছে পাঠানো হয় তাতে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতির কোনও উল্লেখ ছিল না। সেই মেইলটা পড়ে দেওয়া হচ্ছে। এরপর এনিয়ে বিভ্রান্তি দূর করার জন্য আজ ভোট ৩.৫০ মিনিটে একটি মেইল করেছি। সেখানে বলা হয় যে মেল আমরা পেয়েছি সেখানে আপনার উপস্থিতির কোনও কথা ছিল না। এখন আমরা আমাদের দাবি ফের রাখছি, অভয়ার জন্য ন্যায়বিচার, সন্দীপ ঘোষের সাসপেনশন, বিনীত গোয়েলের অপসারণ, সব হাসপাতালে উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা, থ্রেট কালচারের অবসান করতে হবে। আমাদের আবেদন যে ডেলিগেশনের কথা হয়েছে সেখানে কমপক্ষে ৩০ জনকে রাখা হোক। গোটা রাজ্যের মানুষ এই বৈঠকের জন্য অপেক্ষা করছে। রাজ্য সরকার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের লাইভ টেলিকাস্ট করে। আমরাও সেটা আশা করি।