গতকালই জানা গিয়েছিল নবান্ন থেকে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে একটি মেইল পাঠানো হয়। সেটি পাঠান স্বাস্থ্যসচিব। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, '৫টার পর আমাদের প্রশাসনের মাধ্যমে আন্দোলনরত চিকিত্সকদের কাছে খবর গিয়েছিল, যদি তাঁরা চান, তাঁরা আসতে পারেন কথা বলতে পারেন। ই-মেল গিয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের প্রধান সচিবের কাছ থেকে। ৬টা ১০ ইমেল গিয়েছে। ১০ জনকে আসার কথা বলা হয়েছিল, যদি তারা আসতে চান'। সন্ধে ৬টা ১০ মিনিটের ওই মেইলে কোনও সাড়া দেননি জুনিয় ডাক্তাররা। শুধু তাই নয়, সরকারের দাবি মতো জুনিয়র ডাক্তারদের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তাররা না আসায় মুখ্যমন্ত্রী বাড়ি চলে যান।
সরকারের তরফে পাঠানো ওই মেইলের ব্যাপারে স্বাস্থ্য ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে বিস্তারিত জানালেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। সেখানে বলা হয়, গতকাল মিডিয়ায় মানণীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর বয়ান থেকে জানতে পারি মুখ্য়মন্ত্রী নাকি আমাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সবিনয়ে জানাতে চাই গতকাল ৬টা ১২ মিনিটে যে মেইল হেলথের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রিটারির পক্ষ থেকে আমাদের কাছে পাঠানো হয় তাতে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতির কোনও উল্লেখ ছিল না। সেই মেইলটা পড়ে দেওয়া হচ্ছে। এরপর এনিয়ে বিভ্রান্তি দূর করার জন্য আজ ভোট ৩.৫০ মিনিটে একটি মেইল করেছি। সেখানে বলা হয় যে মেল আমরা পেয়েছি সেখানে আপনার উপস্থিতির কোনও কথা ছিল না। এখন আমরা আমাদের দাবি ফের রাখছি, অভয়ার জন্য ন্যায়বিচার, সন্দীপ ঘোষের সাসপেনশন, বিনীত গোয়েলের অপসারণ, সব হাসপাতালে উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা, থ্রেট কালচারের অবসান করতে হবে। আমাদের আবেদন যে ডেলিগেশনের কথা হয়েছে সেখানে কমপক্ষে ৩০ জনকে রাখা হোক। গোটা রাজ্যের মানুষ এই বৈঠকের জন্য অপেক্ষা করছে। রাজ্য সরকার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের লাইভ টেলিকাস্ট করে। আমরাও সেটা আশা করি।
জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে বলা হয়, ওই মেইলের কোনও সুদুত্তর পাওয়া যায়নি। ডাক্তাররা রাস্তায় রাত কাটিয়েছেন। আমাদের এই আবেগকে সরকার যে বুঝতে পারেছেন না তার জন্য আমরা যারপরনাই হতাশ। রাজ্যের মানুষকে আহ্বান জানাচ্ছি তারা আমাদের পাশে এসে দাঁড়ান। স্বাস্থ্য ভবনের তরফে আমাদের দাবি নিয়ে কোনও সুদত্তর পাইনি। রাস্তায় আমাদের রাত কাটাতে হয়েছে। আজও তিনটে বেজে গিয়েছে। প্রশাসনের কাছ থেকে কোনও বার্তা পাইনি।