• সন্দেশখালিতে দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর, ‘বাংলাদেশের সংস্কৃতি এপারে’ কটাক্ষ শুভেন্দুর
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • আগামী মাসে দুর্গাপুজো। তবে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে বহু ক্লাব দুর্গাপুজোর সরকারি অনুদান ফিরিয়ে দিয়েছে। এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলকে উৎসবে ফেরার অনুরোধ করেছেন। কিন্তু, তারই মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে গেল সন্দেশখালিতে। দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল। আর এই ঘটনায় বাংলাদেশের সঙ্গে তুলনা টানলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি অভিযোগ করেছে, বাংলাদেশের ধাঁচে দেব-দেবীর মূর্তি ভাঙচুরের বাংলাদেশি সংস্কৃতি প্রতিবেশী পশ্চিমবঙ্গে সংক্রামকভাবে প্রবেশ করেছে! একইসঙ্গে এই ঘটনার জন্য তৃণমূলের দিকেই আঙুল তুলেছেন বিরোধী দলনেতা।

    জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে সন্দেশখালির ‘মাঝের সার্বেরিয়া নতুন মিলন সংঘ’ ক্লাবে। এদিন সকালে ক্লাবের সদস্যরা দেখতে পান দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। ভেঙে পড়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রতিমা। ঘটনাটি ঘটেছে গ্রামের মন্দিরের ঠিক পাশেই। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। এরপর ক্লাবের সদস্যরা ন্যাজাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

    যদি এই ঘটনায় পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করবে না বলেই আশঙ্কা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি অভিযোগ করেছেন, ঘটনায় এফআইআর করা হলেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করবে না। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করবে না। কারণ শাসক দলের আশ্রয়প্রাপ্ত এবং তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক। এই ঘটনায় ক্লাবের সদস্যরা গ্রামেরই কয়েকজন সংখ্যালঘুর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। তাঁদের অভিযোগ, কয়েকদিন আগেই মুনছর মোল্লা ও ফজের আলি মোল্লা গ্রামের মন্দির ভাঙচুরের হুমকি দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, তারা বাংলাদেশি। আরও অভিযোগ, তারা তৃণমূলের উপপ্রধান যাদব মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ সহযোগী।

    উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রায়ই দুর্গাপুজোর আগে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। তাছাড়া, মন্দিরে ভাঙচুর করার অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়। সেই প্রসঙ্গ টেনেই শুভেন্দু অধিকারী কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সংস্কৃতি এখন পশ্চিমবাংলাতেও দেখা যাচ্ছে।’ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এর ছবি এবং ভিডিয়ো পোস্ট করে অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্যের মুখ্য সচিব এবং পুলিশের কাছে অনুরোধ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘এটা বাংলাদেশ নয়, ভারত।’
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)