‘খোলা মনে’ আলোচনার জন্য ফের সরকারের তরফে আবেদন করা হলো আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে। কোনও শর্ত দিয়ে নয়, খোলামেলা আলোচনা করার আহ্বান জানানো হল নবান্নের তরফে। জুনিয়র ডাক্তারদের এই আন্দোলনের পেছনে কি কোনও রাজনীতি আছে? সেই প্রশ্নও তুললেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। অন্যদিকে, জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে জানানো হলো, তাঁদের আন্দোলনের মধ্যে ‘কোনও রাজনীতি নেই’। তবে, তাঁদের দাবিগুলি মেনে নিয়েই আলোচনা করতে হবে।সন্ধ্যা ছটায় ডাক্তারদের বৈঠকে আসার জন্য ই-মেল করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। এর পাল্টা ৪ দফা দাবি জানিয়ে ই-মেল করা হয় ডাক্তারদের তরফে। সন্ধ্যা ছটার পর একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং ডিজি রাজীব কুমার। সেখানে রাজ্যের মুখ্যসচিব বলেন, ‘কোনও শর্ত রেখে আলোচনা করা যায় না। আমরা চাইছিলাম খোলামনে আলোচনা হোক, তাঁদের উদ্বেগের বিষয়গুলি যাতে শুনতে পারি।’ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও জুনিয়র ডাক্তাররা কেন কর্মবিরতি তুলে নিচ্ছেন না? সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়।
মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ বলেন, ‘আজ ইমেলের যে উত্তর আমরা পেয়েছি, তাতে আমরা আশাহত। এটা হওয়া উচিত ছিল না। আমরা আশা করব, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে ওঁরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবেন। জানি না, কী কারণে তাঁরা এখনও এটি মানেননি।’
গতকাল স্বাস্থ্যসচিবের মেল পাওয়ার পর বুধবার রাত ৩টে ৫০ মিনিটে পাল্টা মেল করা হয় ডাক্তারদের তরফে। এত রাতে ডাক্তারদের তরফে কেন মেল করা হয়েছে সেই নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করা হয়। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘খোলা মন এবং শর্ত— দু’টি একসঙ্গে চলতে পারে না। অর্থাৎ, নির্যাতিতা বিচার পাক— ব্যাপারটি তা নয়। এর পিছনে রাজনীতির কোনও খেলা আছে। তাই এতটা সময় লাগছে এত কিছু চিন্তা ভাবনা করতে। তাঁরা খোলা মনে আলোচনা চান না, তাই এই শর্তগুলি দেওয়া হচ্ছে।’
নবান্নের এই সাংবাদিক বৈঠকের পর ডাক্তারদের তরফে বলা হয় , ‘এই আন্দোলনে কোনও রাজনীতির রঙ নেই। আমাদের আন্দোলন সম্পূর্ণ ভাবে অরাজনৈতিক। যে মুহূর্তে আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হবে, সেই মুহূর্তে আমরা আলোচনায় যোগ দেব।’ যে শর্তগুলি তাঁদের তরফে দেওয়া হয়েছে, সেগুলি মানা হলে তবে তাঁরা আলোচনায় রাজি বলে জানিয়ে দেন।