• 'ডাক্তাররা নিজেদের স্বার্থ দেখলে আমরাও রাস্তায় নামতে বাধ্য হব', হুঁশিয়ারি হুমায়ুনের
    আজ তক | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বিগত ২৪ ঘণ্টা ধরে ধর্না কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন  চিকিৎসকরা। দাবি মানা হলে অবস্থান চলবে, সাফ জানিয়েছেন তাঁরা। এবার সেই জুনিয়ার চিকিৎকদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের। জাক্তাররা নিজেদের স্বার্থ দেখলে তিনিও সাধারণ মানুষের স্বার্থ দেখবেন। হুমকির সুর শোনা গেল হুমায়ুন কবিরের গলায়। 

    বুধবার হুমায়ুন কবির বলেন, 'ডাক্তাররা যদি একতরফা অমানবিকভাবে শুধু নিজেদের স্বার্থ দেখেন তাহলে তাহলে আম জনতার স্বার্থ দেখার জন্য আমরাও রাস্তায় নামব। এটা হুমায়ুন কবির বলে রাখছে। ডাক্তারদের যেমন বাঁচার অধিকার রয়েছে, তাঁরা যেভাবে সুযোগ-সুবিধে ভোগ করছেন, যেভাবে ভাতা পাচ্ছেন, তাঁদের দায়িত্ব নাগরিককে পরিষেবা দেওয়ার। কিন্তু তাঁরা সেটা করছেন না। এটা উচিত নয়।' 

    হুমায়ুনের আরও সংযোজন, আমি মুর্শিদাবাদ জেলার কথা বলতে পারি।  এখানকার মানুষের পার্লস বুঝি। সেখানে যখন ডাক্তারদের বিরুদ্ধে আমরা যখন রাস্তায় নামব, তখন ডাক্তাররা কী করবেন দেখে নেবেন। একজন মারা গেছেন, খুন হয়েছেন,তার সর্বোচ্চ সাজা হোক এটা চাই। সেটাকে হাতিয়ার করে সারা বছরের কোথায় কী হয়েছে তা নিয়ে পরিষেবা বন্ধ করবে এটা হবে না। প্রতিরোধ করার অধিকার আমাদের রয়েছে। ডাক্তাররা কেন সুরক্ষিত থাকবে। পাবলিক তো মরছে। ডাক্তাররা যদি বলেন বিল্ডিং ঘিরে রাখব, তাহলে সেই বিল্ডিং ঘিরে রাখার অধিকার তো সংবিধানও আমাদের দিয়েছে। 

    সরকারি আমলাদেরও কার্যত হুঁশিয়ারি দেন হুমায়ুন কবির। তাঁর অভিযোগ, আমলাদের একটা অংশ দলকে ভুলপথে পরিচালিত করছে। হুমায়ুন বলেন, 'আমলাদের একটা অংশ যেভাবে শাসকদলকে ভুলপথে পরিচালিত করার চেষ্টা করছে তাতে পাবলিকের কাছে আমাদের অনেক প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। দল বা সংগঠনকে তো আমাদের ধরে রাখতে হবে। সেজন্য আমাদেরও পদক্ষেপ করতে হবে। কারণ আমরা তো মাসের পর মাস এভাবে চুপ করে বসে থাকতে পারি না।' 

    হুমায়ুন আরও বলেন, 'CP, DG থেকে শুরু করে জেলার এসপি বা ওসির দায়িত্ব সচেতন হওয়া উচিত। এবং নিরপেক্ষভাবে পুলিশের চলা উচিত। অনেক আমলা সুবিধেভোগীও রয়েছে। তারা এই সরকারের আমলেও অনেক সুবিধে ভোগ করেছে। দেখে মনে হচ্ছে, আমলারা ২০০৬ থেকে ২০১১ সালে রাজ্যের যে পরিস্থিতি বুদ্ধবাবুর আমলে হয়েছিল, সেইদিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। ন্যায় বিচার দেওয়ার ক্ষমতা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় রাখেন। তিনি নিশ্চয় কিছু ভাবনা চিন্তা করছেন। আগামী দিনে কী করা উচিত তিনি জানেন। তাই হয়তো ভবিষ্যতে তিনি পদক্ষেপ করবেন।' 

    প্রসঙ্গত, এর আগে চিকিৎসকদের বেতন, ভাতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক। তিনি ক্ষমাও চান। তবে এবার হুমায়ুনের বিরুদ্ধে তৃণমূল কী অবস্থান নেয় সেটাই দেখার। 
  • Link to this news (আজ তক)