• দিনের আলোয় চলছে পুকুর ভরাট, অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য
    বর্তমান | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কান্দি: শুধু বিডিও অফিসের সামনে নয়। বিএলআরও অফিস সংলগ্ন এলাকায় ভরতপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ঢোকার রাস্তার পাশেই দিনের আলোয় চলছে পুকুর ভরাট। এমনকী পুকুর ভরাটে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের জড়িত থাকার অভিযোগও করা হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দাবি তুলেছেন।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভরতপুর বিডিও অফিসের প্রধান গেটের সোজাসুজি একমাত্র রাস্তা ওই গ্রামীণ হাসপাতাল ঢুকেছে। প্রায় ৫০ মিটার ওই সামান্য রাস্তার দু’পাশে রয়েছে দু’টি পুকুর। রাস্তার দক্ষিণ দিকের পুকুরটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ভরাট হওয়ার উপক্রম। এরপর সম্প্রতি রাস্তার উত্তরদিকের পুকুর ভরাট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, উত্তরদিকের পুকুরে কয়েকমাস আগেই পাড় ছেড়ে বাঁশ পোতা হয়েছিল। এরপর মঙ্গলবার থেকে বাঁশ দিয়ে ঘেরা সেই জায়গায় পুকুর ভরাট শুরু হয়েছে। ট্রাক্টরে করে মাটি এনে শ্রমিক দিয়ে মাটি ভরাট করা হচ্ছে। অথচ এই পুকুর বাসিন্দারা বহুবছর ধরে ব্যবহার করছেন বলে দাবি। এমনকী হাসপাতালে রোগীরাও ওই পুকুর ব্যবহার করেন। এনিয়ে সোমবার বাসিন্দারা ভরতপুর ১ বিডিও, ভরতপুর ১ বিএলআরও ও কান্দি মহকুমা শাসককে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।

    অভিযোগকারী মনিরুল হোসেন বলেন, এর আগেও একবার পুকুর ভরাটের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু ওইসময় বিডিও সাহেবের হস্তক্ষেপে ভরাট বন্ধ হয়ে যায়। এবার কিন্তু ফের শুরু হয়েছে। এদের মধ্যে রাজনৈতিক ব্যক্তি থেকে অসামাজিক ব্যক্তিরাও রয়েছেন। একজন পুকুর মালিক নিজেও চাইছেন না যে, পুকুর ভরাট হোক।

    এদিকে ওই অভিযোগপত্রে আলি মহম্মদ খান সহ বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জড়িত রয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। আলি মহম্মদ খান তৃণমূল কংগ্রেসের ভরতপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। তিনি বলেন, কোনও অসৎ উদ্দেশ্যে পুকুর ভরাট করা হচ্ছে না। তাছাড়া যে জায়গা ভরাট করা হচ্ছে সেটি পুকুরের অংশও নয়। আমি মাটি ভরাট করেছি বলে কোন প্রমাণও নেই।

    তিনি আরও বলেন, পুকুর ভরাট যেভাবেই হোক না কেন, তাতে হাসপাতালের উপকার হবে। কারণ হাসপাতাল ঢোকার রাস্তাটি অতি সংকীর্ণ। এটিকে চওড়া করার উদ্দেশ্যেই পুকুর ভরাট করা হচ্ছে বলে জানি।

    এদিকে বুধবার ফের স্থানীয় বিডিও এবং বিএলআরকে অপর এক ব্যক্তির নামে পুকুর ভরাটের অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি স্থানীয় একটি রেস্তরাঁর মালিক। 

    এবিষয়ে ভরতপুর ১ বিএলআরও আনন্দমোহন মাইতি বলেন, দু’টি পুকুর ভরাটের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। দ্রুত একটি তদন্ত কমিটি গড়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রায় একই বক্তব্য ভরতপুর ১ বিডিও দাওয়া শেরপার।
  • Link to this news (বর্তমান)