২০১২ সালে তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকার ভারতে ইলিশ রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এর প্রেক্ষিতে এপার বাংলায় পদ্মার ইলিশ রফতানি কার্যত বন্ধ ছিল। ২০১৮ সালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক চুক্তির ফলে ফের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে ইলিশ মাছ পাঠাতে রাজি হন। সেই থেকেই প্রতি বছর দুর্গাপুজোর আগে, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশ সরকার এক মাসের জন্য ৫০০০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দিত। বাংলাদেশি সরকার এটিকে খাতায়-কলমে 'পশ্চিমবঙ্গকে পুজোর উপহার' হিসাবেই মূলত দেখাত।
সেই উপহার পাঠানোয় এবার কি ব্যত্যয়?
গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করার পরে বদলে যায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। বর্তমানে বাংলাদেশ ইউনূস-পরিচালিত অন্তবর্তী সরকারের হাতে। এই পরিস্থিতিতেই ঘটনাক্রম একইরকম ভাবে এগোচ্ছিল। এবারেও যাতে পুজোর সময়ে এপার বাংলার বাঙালিরা ওপার বাংলার ইলিশের স্বাদ পেতে পারেন, সেজন্য 'ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন' নতুন বাংলাদেশি সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রক এবং বিদেশ মন্ত্রকে যথারীতি চিঠি লেখে। কিন্তু গত ৯ সেপ্টেম্বর এই চিঠি লেখা হলেও, এখনও পর্যন্ত, ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তার কোনো উত্তর পশ্চিমবঙ্গে আসেনি।
তাই কি ইলিশ না পাওয়ার আশঙ্কা?
প্রায় তাইই। 'ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে'র সেক্রেটারি সৈয়দ আনোয়ার মকসুদ বলেন, তাঁরা ফের চিঠি দিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে ইলিশ মাছ পাঠানোর জন্য অনুরোধ করবেন। তবে বিভিন্নভাবে তাঁরা জানতে পেরেছেন, এবারে ওপারের সরকার এপারে পদ্মার ইলিশ মাছ পাঠাতে আগ্রহী নয়। সেক্ষেত্রে খাদ্যরসিক বাঙালি পুজোর সময়ে হয়তো সুস্বাদু ইলিশের স্বাদ থেকে বঞ্চিতই থাকবে।