বুধবার সন্ধেয় সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যসচিব বলেন, ডাক্তারদের আমরা অনুরোধ করেছিলাম যাতে ওরা কাজে ফিরে আসেন। তারপর আজ তিনটের সময়ে মেইলের মাধ্যমে কাজে ফেরার অনুরোধ করেছিলাম। আজ ছটার সময় ওদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা যাতে ওরা কাজে ফেরেন ও মানুষকে পরিষেবা দেন। ওদের নিরাপত্তার জন্য আমরা কী কাজ করছি তা ওদের বলার ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ওরা কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ নেননি। ওরা আলোচনার জন্য আসেননি। এর মধ্যেই ওরা একটি মেইল পাঠিয়েছেন যেখানে ওদের বক্তব্য, ওরা ৩০ জন আসবেন, বৈঠকের লাইভ টেলিকাস্ট করতে হবে, তাদের ৫টি দাবি মানতে হবে, মুখ্যমন্ত্রীকে উপস্থিত থাকতে হবে। গতকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত মুখ্য়মন্ত্রী নবান্নে ছিলেন। ওদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। ওরা নতুন মেইল পাঠিয়েছেন। কোনও শর্ত রেখে আলোচনা করা যায় না। আমরা চাইছিলাম খোলামেলা আলোচনা হবে। ওদের কথা শুনব। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করব। শর্ত রাখার মানসিকতা মনে হয় ঠিক নয়। খোলামেলা আলোচনার জন্য ওদের আসা উচিত ছিল। তবে আমরা আশা করব সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ও আমাদের আপিলে সাড়া দিয়ে কাজে ফিরে আসবে। ওদের কাছ থেকে একটা ইতিবাচক সাড়া আশা করছি।
অন্যদিকে, ডিজি রাজীব কুমার বলেন, পুলিসের তরফে বলব ডাক্তারদের সুষ্ঠু ও নিরাপদ কাজের পরিবেশ দেওয়ার ব্যাপারে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা চাই তাড়াতাড়ি ওরা কাজে ফিরে আসুন। একটা বদল ওরা দেখতে পাবেন। আরও একটা জিনিস হল, স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতি চাইলে খোলামেলা আলোচনা করতে হবে। এর জন্যও ওদের মেইল পাঠানো হয়েছিল। আমাদের সবার উদ্দেশ্য একই। তাই আলোচনার মাধ্য়মেই আমরা তা করতে পারি।
স্বাস্থ্য় প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে তা দুর্ভাগ্যজনক। এরকম ঘটনার প্রতিকারে রাজ্য বিধানসভায় একটি বিলও পাস হয়ে গিয়েছে। গতকাল থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনা নিয়ে একটা টানাটানি চলছে। সাধারণ মানুষ দেখছে। এটা রোগী পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে। সাধারণ মানুষ যাতে বঞ্চিত না হয় তার জন্যই এই অনুরোধ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল মঙ্গলবার ৫টার মধ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফিরতে হবে। কিন্তু তা তারা করেননি। গতকাল আলোচনার কথা ছিল। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন। তারা এলেন না। আসলে রাজনীতি লুকিয়ে রয়েছে বলেই এই ধরনের ঘটনাপ্রবাহ। আজও তাদের আসার কথা ছিল। কিন্তু তারা কিছু শর্ত দিলেন। জনসাধারণের কাছে স্পষ্ট করে দিতে চাই রাজ্য সরকার চাইছে খোলা মনে আলোচনা করতে। কোনও শর্ত রেখে নয়। খোলা মন ও শর্ত একসঙ্গে চলে না। অর্থাত্ খোলা মন নেই। পেছনে হয়তো রাজনীতির খেলা রয়েছে। তাই শর্ত আরোপ করা হয়েছে।