স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে মেডিক্যাল কলেজে ও হাসপাতালগুলির বর্তমান পরিস্থিতি বিচার করে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠক হবে আগামী সপ্তাহে। এনিয়ে দিনক্ষণ পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে।
আরজি কর ঘটনা নিয়ে ক্রমশ চাপে পড়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। একদিকে সিবিআই এনিয়ে কোনও বড় ব্রেক থ্রু দিতে পাচ্ছে না। অন্যদিকে, আরজি কর ঘটনায় কোনও ষড়যন্ত্র বা বড় গোষ্ঠী কাজ করছে কিনা তাও এখনও স্পষ্ট নয়। প্রতিবাদী বিক্ষোভকারী থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের একমাত্র দাবি, বিচার চাই। জুনিয়র ডাক্তারদের পরিষেবা ছাড়াই চলছে হাসপাতালগুলি। রাজ্যে সরকারের দাবি এরকম এক অবস্থায় চিকিত্সর অভাবে ২৩ জন রোগীর মৃত্য়ু হয়েছে। অন্যদিকে, জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, হাসপাতালে ডাক্তারদের নিয়োগ নেই। তাই পরিষেবা দিতে সমস্যা হচ্ছে। এর সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ দেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই।
এরকম এক অচলবস্থায় মঙ্গলবার বিকেলে আন্দোলনকারীদের একটি মেইল করা নবান্ন থেকে। সেই মেইলের বক্তব্য, আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীরা চাইলে এখনই গিয়ে নবান্নে বৈঠক করতে পারেন। বুধবার ফের নবান্ন থেকে মেইল করে জুনিয়র ডাক্তারদের জানানো হয় বৈঠক হবে আজ সন্ধে ৬টায়। সেই বৈঠকের আগেই পাল্টা মেইল পাঠাল আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের অনুরোধ করা হয়েছিল তাদের প্রতিনিধি দলে রাখতে হবে ১২-১৫ জনকে। সেই জায়গায় আপত্তি জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাদের দাবি, প্রতিনিধি দলে ৩০ জনকে রাখতে হবে। আন্দোলনকারীরা আগেই জানিয়েছিলেন তাদের সঙ্গে আন্দোলনে অনেকে রয়েছেন তাই কমপক্ষে ৩০ জনকে প্রতিনিধি দলে রাখতেই হবে।
বুধবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে আন্দোলনকারীদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় যে বৈঠক হবে তাতে স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য বৈঠকের লাইভ টেলিকাস্ট করতে হবে। এদিন বিকেলে মেইল করে সেই কথাই কথাই মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সরকারের কাছে ফের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে তাদের ৫ দফা দাবি নিয়ে আলোচনা করতে হবে। শেষ যে শর্ত দেওয়া হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই বৈঠক করতে হবে।