আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের অনুরোধ করা হয়েছিল আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দলে থাকবেন ১২-১৫ জন। সেই জায়গায় আপত্তি জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাদের দাবি, প্রতিনিধি দলে ৩০ জনকে রাখতে হবে। আন্দোলনকারীরা আগেই জানিয়েছিলেন তাদের সঙ্গে আন্দোলনে অনেকে রয়েছেন তাই কমপক্ষে ৩০ জনকে প্রতিনিধি দলে রাখতেই হবে।
বুধবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে আন্দোলনকারীদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় যে বৈঠক হবে তাতে স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য বৈঠকের লাইভ টেলিকাস্ট করতে হবে। এদিন বিকেলে মেইল করে সেই কথাই কথাই মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সরকারের কাছে ফের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে তাদের ৫ দফা দাবি নিয়ে আলোচনা করতে হবে। শেষ যে শর্ত দেওয়া হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই বৈঠক করতে হবে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার জুনিয়র ডাক্তারদের আলোচনায় বসার জন্য মেইল করেন স্বাস্থ্য সচিব। সেখানে এই অচলাবস্থা কাটাতে আলোচনায় বসার কথা বলা হয়েছিল। আজ দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে গতকাল স্বাস্থ্য সচিবের পাঠানো মেইলের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, গতকাল মিডিয়ায় মানণীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর বয়ান থেকে জানতে পারি মুখ্য়মন্ত্রী নাকি আমাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সবিনয়ে জানাতে চাই গতকাল ৬টা ১২ মিনিটে যে মেইল হেলথের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রিটারির পক্ষ থেকে আমাদের কাছে পাঠানো হয় তাতে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতির কোনও উল্লেখ ছিল না। সেই মেইলটা পড়ে দেওয়া হচ্ছে। এরপর এনিয়ে বিভ্রান্তি দূর করার জন্য আজ ভোট ৩.৫০ মিনিটে একটি মেইল করেছি। সেখানে বলা হয় যে মেল আমরা পেয়েছি সেখানে আপনার উপস্থিতির কোনও কথা ছিল না। এখন আমরা আমাদের দাবি ফের রাখছি, অভয়ার জন্য ন্যায়বিচার, সন্দীপ ঘোষের সাসপেনশন, বিনীত গোয়েলের অপসারণ, সব হাসপাতালে উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা, থ্রেট কালচারের অবসান করতে হবে। আমাদের আবেদন যে ডেলিগেশনের কথা হয়েছে সেখানে কমপক্ষে ৩০ জনকে রাখা হোক। গোটা রাজ্যের মানুষ এই বৈঠকের জন্য অপেক্ষা করছে। রাজ্য সরকার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের লাইভ টেলিকাস্ট করে। আমরাও সেটা আশা করি।