মঙ্গলবার থেকে স্বাস্থ্যভবনে ধরনা দিচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। লালবাজার অভিযান থেকে স্বাস্থ্যভবনে ধরনা, ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়ে চলেছেন জুনিয়র ডাক্তার ও সরকারপক্ষ। কিন্তু এভাবে সরকারকে চাপে ফেলা যাবে না বলেই মনে করেন শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই নিরামিষ আন্দোলনে সরকার চাপে পড়ে না। এই মমতাকে আমি ভালো চিনি। চাপে পড়েছিলেন একদিন। ওইদিন সকাল ১০টায় নবান্নয় ঢুকে গিয়েছিলেন। কোনওদিন সাধারণত ঢোকেন না।
বিরোধী দলনেতা বলেন, মমতাকে নাড়াতে গেলে ২৭ তারিখ নবান্ন অভিযানের মতো করতে হবে। বসে থাকুন না সাতদিন স্বাস্থ্যভবনের ভেতরে। বয়েই গেল। মানুষকে বলব, অপেক্ষা করুন। আমরাও দেখছি। আমরা জানি কী করতে হয়। সমস্ত চাকরিপ্রার্থী সংগঠনগুলোর সঙ্গে কথা হচ্ছে। ঝাঁকিয়ে ঝাঁকিয়ে লোহার ব্যারিকেড ভাঙতে হবে। চাকরি দাও নইলে বাড়ি যাও।
শুভেন্দুর ওই মন্তব্য নিয়ে তৃণমূল নেতা অরূপ চক্রবর্তী বলেন, জুনিয়র ডাক্তারদের ওই আন্দোলনে এর আগে অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন। তাকে প্রায় ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন আন্দোলনকারীরা। এরপর শুভেন্দু অধিকারী বার্তা পাঠিয়েছিলেন। তাতে জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন তিনি এলে তাঁকেও গো ব্যাক শুনতে হবে। অগ্নিমিত্রা পল চেষ্টা করেছিলেন। তাকেই তাড়া করে ভাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। ডাক্তারদের এই আন্দোলনের প্রতি আমাদের সম্পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। সরকার চায় দ্রুত তদন্ত শেষ হোক। আর জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে ফিরুন। আজ নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকের সময় দিয়েছেন। তাতেই আতঙ্কিত শুভেন্দু অধিকারী এসব প্ররোচনা দিচ্ছেন। যদি সত্যি সত্যিই কেউ গ্রেফতার হয়, সমস্যার সমাধান হয় তাহলে শুভেন্দুর হাতে কিছুই থাকবে না। উনি অস্বিত্ব বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। শুভেন্দু প্রতিবার পরীক্ষায় শূন্য পাবে আর হেড মিস্ট্রেসের পদত্যাগ দাবি করবে।
অন্যদিকে, শুভেন্দুর ওই মৃত্যু নিয়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, অশান্তি কারা করবে, কিভাবে করবে তার কাড়াকাড়ি চলছে। অশান্তি গোলমালের ইঙ্গিত রয়েছে। বিরোধী দল প্ররোচনা দিলে তার প্রতিবাদ করতেই হয়। উনি যেন নৈরাজ্যের কথা বলছেন। নন্দীগ্রাম-নেতাইয়ের প্রতিক্রিয়া সবাই দেখেছেন। সব ঘটনা মেলালেই মুশকিল। কে বা কারা গন্ডগোল করতে চাইছে তাহলে স্পষ্ট হোক।