বুধবার এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যেকোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নির্যাতিতার দোষীদের কঠোরতম শাস্তি আমরাও চাই। আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে সিবিআই তদন্তও হচ্ছে। তা বলে আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা দিনের পর দিন কর্মবিরতি পালন করে যাবেন, এই জিনিস আর বরদাস্ত করব না।” তিনি আরও বলেন, “ডাক্তাররা সরকারি ভাতা-বেতন নিচ্ছেন, মানুষকে পরিষেবা দেওয়া তাঁদের দায়িত্ব, সেই জায়গায় আমরা হাত দিলে তখন কী হবে? দিনের পর দিন পরিষেবা বন্ধ করলে প্রতিরোধের অধিকার আমাদেরও আছে, পাবলিক মরছে, তাহলে ডাক্তাররা সুরক্ষিত থাকবেন কেন? ডাক্তারদেরও ঘেরাওয়ের অধিকার সংবিধান আমাদের দিয়েছে।”
উল্লেখ্য, জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফেরার সময় বেঁধে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কর্মবিরতি প্রত্যাহারের আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কিন্তু তাতেও চিঁড়ে ভেজেনি। পালটা রাজ্যকেই ডেডলাইন বেঁধে দেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার দুপুর থেকে স্বাস্থ্যভবনের সামনে অবস্থানে শামিল আন্দোলনকারীরা। ওইদিন বিকেল ৫টার মধ্যে তাঁদের পাঁচ দফা দাবি মানতে হবে। তবেই তাঁরা কাজে ফেরার প্রস্তাব নিয়ে ভাবনাচিন্তা করবেন বলে জানিয়েছিলেন। রাজ্য দাবি না মানায় বুধবারও কাজে ফেরেননি জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাই মুখ্যসচিব তাঁদের বুধবার ফের চিঠি পাঠান। সন্ধে ৬টায় নবান্নে যাওয়ার কথা বলেন। তবে মুখ্যসচিবের দেওয়া ডেডলাইনও পার। এখনও নিজেদের অবস্থানে অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা।