সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘড়ির কাঁটা ৬টা পেরিয়ে গিয়েছে। তবু স্বাস্থ্যভবন চত্বর ছেড়ে নবান্নমুখী হননি জুনিয়র চিকিৎসকরা। চিঠি চালাচালি হলেও প্রশাসনিক প্রধানদের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসেননি তাঁরা। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বৈঠক ঘিরে এখনও ধোঁয়াশা জারি।
আর জি করে নিহত তরুণী চিকিৎসকের সুবিচার চেয়ে পথে নেমেছেন চিকিৎসকরা। আন্দোলনের ৩২ দিন অতিক্রান্ত। তবু রফাসূত্র অধরা। ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে স্বাস্থ্যভবনের সামনে অবস্থানে তাঁরা। সুবিচারের পাশাপাশি স্বাস্থ্যশিক্ষা কৌস্তভ নায়েক, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম, স্বাস্থ্য অধিকর্তা দেবাশিস হালদারের পদত্যাগের দাবিতে অনড়। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার নবান্নের তরফে ইমেল করা হয় তাঁদের। ডাকা হয় বৈঠকে। কিন্তু বরফ গলেনি। চিকিৎসকরা সাফ জানিয়ে দেন, ইমেলের ভাষা অপমানজনক। যার অপসারণ দাবি করা হচ্ছে সেই আধিকারিকের থেকে ইমেল কোনওভাবেই আলোচনার ভিত্তি হতে পারে না। এদিন এর পর বুধবার চিঠি দিলেন মুখ্যসচিব। তাতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের কথা মনে করানোর পাশাপাশি সমস্যা সমাধানের জন্য আলোচনারও ডাক দেওয়া হয়। বলা হয়, সন্ধে ৬টায় ১২ থেকে ১৫ জনের প্রতিনিধি দলকে নবান্নে যেতে। কিন্তু সেই ডাকেও সাড়া মিলল না।
পালটা বৈঠকে বসতে চার শর্ত চাপালেন আন্দোলনকারীরা। মুখ্যসচিবকে পালটা ইমেল করেছেন তাঁরা। জুনিয়র ডাক্তাররা দিয়েছেন চার শর্ত।
১. নবান্নের বৈঠকে থাকবে ৩০ জন প্রতিনিধি।
২ স্বচ্ছতা বজায় রাখতে বৈঠকে লাইভ টেলিকাস্ট করতে হবে।
৩. আলোচনা হবে তিন স্বাস্থ্যকর্তার পদত্যাগ-সহ পাঁচ দফা দাবি নিয়ে।
৪. বৈঠকে থাকতে হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
এই দাবি মানলে তবেই আলোচনার টেবিলে বসবেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তবে বৈঠকে বসলেই যে ডাক্তারদের কর্মবিরতি উঠে যাবে, এমনটা নয়। আন্দোলনকারী কিঞ্জল নন্দ বলেন, “আমাদের দাবি নিয়ে বৈঠক হলে আমরা ফের স্বাস্থ্যভবনের সামনে আসব। এখানে চিকিৎসক, সাধারণ মানুষ অপেক্ষা করছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে কর্মবিরতি ও আন্দোলনের পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে।”