• শবের সঙ্গে সঙ্গম! বিক্রি পর্নসাইটে? আর জি করের মর্গ যেন রহস্যের খাসমহল
    প্রতিদিন | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় নেক্রোফিলিক? মরদেহের সঙ্গে সহবাস করত সে? সিবিআই সূত্রে খবর, তদন্তে নাকি এমনই তথ্য সামনে এসেছে।

    গত ৯ আগস্ট, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। কলকাতা পুলিশের সিট সঞ্জয় রায় নামে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করে। তদন্তভার নেওয়ার পর সিবিআই তাকে হেফাজতে নেয়। জানা গিয়েছে, হাসপাতালের মর্গে নাকি অবাধ যাতায়াত ছিল সঞ্জয়ের। বেশ কয়েক মাস ধরে গভীর রাতেও নাকি মর্গে আলো জ্বলতে দেখা গিয়েছে। সূত্রের খবর, সঞ্জয়ের মোবাইল থেকে পাওয়া মর্গের বেশ কিছু ভিডিও দেখে ক্রমশ সন্দেহ বাড়ছে তদন্তকারীদের। ওই ভিডিওগুলিতে নাকি মরদেহের সঙ্গে সঞ্জয়ের সহবাসের ছবিও দেখা গিয়েছে। তবে মৃতদেহের সঙ্গে সহবাস স্রেফ সঞ্জয়ের মানসিক ব্যাধি নাকি তার নেপথ্যে পর্নোগ্রাফির চক্র চলত মর্গে, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। অবশ্য আগেই জানা গিয়েছে, পর্নের প্রতি অতিরিক্ত আসক্ত ছিল সঞ্জয়। ঘটনার রাতে সে যৌনপল্লিতে গিয়ে সময় কাটিয়েছিল। এবার প্রশ্ন উঠছে, সঞ্জয় একাই ভিডিও করত নাকি তার সঙ্গে অন্য কেউ রয়েছে। সিবিআই অবশ্য পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

    সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়ের কীভাবে আর জি কর হাসপাতালে এত দৌরাত্ম্য? তার ‘কুকীর্তি’র নেপথ্যে আর কে কে রয়েছে, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের মদতেই সঞ্জয়ের এত বাড়বাড়ন্ত বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, তদন্তে নেমে হাসপাতালে একাধিক দুর্নীতির হদিশ পেয়েছে সিবিআই। পর্নোগ্রাফি চক্রের পাশাপাশি বেওয়ারিশ মৃতদেহের হিসাবের গরমিল, দেহাংশ এমনকী কঙ্কালের হিসাবের গরমিলও পাওয়া গিয়েছে বলেই খবর। মূলত ২০২১ সাল থেকে প্রায় প্রতিটি অর্থবর্ষে দেহের হিসাব পাওয়া যায়নি বলেই তদন্তকারী সূত্রে খবর।
  • Link to this news (প্রতিদিন)