আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের তদন্তে এ বার আখতার আলির বয়ান রেকর্ড করছে ইডি। বুধবার তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। ইডির তলবে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন তিনি। উল্লেখ্য, আখতারের অভিযোগের পরই আরজি করের আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। শুধু আখতার নন, ধৃত সন্দীপ ঘোষের স্ত্রী সঙ্গীতাকে বুধবার তলব করা হয়েছে বলে খবর।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ইডি আধিকারিকেরা আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপের বাড়িতে যান। পাশাপাশি আরও ছ’জায়গায় হানা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। ইডির তরফে জানানো হয়, সে দিনের তল্লাশিতে তারা জানতে পেরেছে যে, সন্দীপ এবং তাঁর স্ত্রী রাজ্য সরকারের কাছ থেকে যথাযথ অনুমোদন ছাড়াই দু’টি সম্পত্তি কিনেছিলেন। যদিও এর পর ২০২১ সালে সঙ্গীতার নামে সন্দীপ আরও একটি সম্পত্তি কিনেছিলেন, যেটির যথাযথ অনুমোদন ছিল তাঁদের কাছে। সেই সময় সন্দীপ আরজি করের অধ্যক্ষ পদে আসীন ছিলেন এবং সঙ্গীতা ওই কলেজেরই সহকারী অধ্যাপক পদে ছিলেন।
সন্দীপের বাড়ি-সহ সাত জায়গায় তল্লাশি শেষে কী কী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, তা-ও ইডির তরফে জানানো হয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা জানান, তল্লাশিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করেছে। সন্দীপ এবং সঙ্গীতার সম্পত্তি সংক্রান্ত নথি এবং বেশ কয়েকটি ডিজিটাল ডিভাইসও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে সেই সূত্র ধরেই ইডি দফতরে তলব করা হয়েছে সন্দীপ-জায়াকে।
অন্য দিকে, আরজি করের চিকিৎসক মৃত্যুর ঘটনার পর পরই কলেজের আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। অভিযোগ ওঠে, তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতি চলেছে। সে বিষয়ে তদন্তের জন্য গত ১৬ অগস্ট রাজ্য সরকারের তরফে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়। এক দিন পরেই উচ্চ আদালতের নির্দেশে রাজ্য পুলিশের পরিবর্তে মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় সিবিআইয়ের হাতে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে একাধিক বেনিয়মের তত্ত্ব উঠে এসেছে। মর্গ থেকে দেহ উধাও হওয়া থেকে শুরু করে রয়েছে হাসপাতালের জৈব বর্জ্য নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগও! এ বিষয়ে পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন হাসপাতালের প্রাক্তন অতিরিক্ত সুপার আখতার। সেই মামলায় স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে তদন্ত শুরু করে ইডি। এ বার অভিযোগকারী আখতারকেও জেরা করছে তারা।