• খোলা মন নিয়ে আলোচনা করতে আসুন, সরকার সব নিরাপত্তা দেবে, অবস্থানরত ডাক্তারদের আবেদন রাজ্যের
    আনন্দবাজার | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সুুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ স্মরণ করালেন চন্দ্রিমা

    চন্দ্রিমা বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, আমরা সেই নির্দেশকে মান্যতা দেব। এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। গতকাল বিকেল ৫টা পেরিয়ে যাওয়ার পরও মুখ্যমন্ত্রী কোনও নেতিবাচক পদক্ষেপ করেননি। সরকারের তরফে কিছু করা হয়নি। কিন্তু, এ বারে সুপ্রিম কোর্ট যা যা বলেছে, সেগুলি মেনে চলতে আমাদের আর কী কী পদ্ধতিগত ব্যাপার রয়েছে, সেগুলির দিকে আমরা লক্ষ রাখছি। কোনও রোগীকে বঞ্চিত করা, কোনও সঠিক পদক্ষেপ নয়। জুনিয়র ডাক্তারদের বলব, রাজনীতির উস্কানির মধ্যে পড়বেন না। আপনারা যে মহৎ পেশায় এসেছেন, সেই পেশার কর্তব্য পালন করুন।”

    আমরা ভেবেছিলাম সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানবেন: চন্দ্রিমা

    রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “অপরাধীদের শাস্তির জন্য শুধু মুখে বলা নয়, রাজ্য বিধানসভায় বিলও পাশ হয়ে গিয়েছে। আজ একটি খোলা মনে আলোচনা চেয়েছিলাম। গতকাল থেকে এই নিয়ে টানাটানি হচ্ছে। সাধারণ মানুষ তা দেখেছেন। এটি অন্য কোনও ক্ষেত্র নয়, রোগী পরি‌ষেবা দেওয়ার ক্ষেত্র। সাধারণ মানুষ যাতে বঞ্চিত না হন, সে জন্যই অনুরোধ করা হচ্ছে বার বার। সুপ্রিম কোর্ট ৯ সেপ্টেম্বর নির্দেশ দিয়েছিল, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে তাঁদের কর্মবিরতি তুলে নিতে। আমরা অপেক্ষা করছিলাম। আমরা ভেবেছিলাম, তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে মান্যতা দেবেন।”

    ‘খোলা মন ও শর্ত একসঙ্গে চলে না’

    স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “দুপুরে মুখ্যসচিব মেল করে নবান্নে আসার জন্য আহ্বান জানালেন ১২-১৫ জনকে। কিন্তু সেই মেলের উত্তর এল প্রায় দু’ঘণ্টা পরে। সেখানে কিছু শর্ত দেওয়া হল। সেটি লাইভ টেলিকাস্ট হবে, মুখ্যমন্ত্রীকে থাকতে হবে, তাঁদের দাবিগুলি নিয়েই কথা বলতে হবে। আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই, রাজ্য সরকার খোলা মনে বসতে চাইছে। কোনও শর্ত সাপেক্ষে নয়। খোলা মন এবং শর্ত— দু’টি একসঙ্গে চলতে পারে না। অর্থাৎ, খোলা মন নেই। নির্যাতিতা বিচার পাক— ব্যাপারটি তা নয়। এর পিছনে রাজনীতির খেলা আছে। তাই এতটা সময় লাগছে এত কিছু চিন্তা ভাবনা করতে। তাঁরা খোলা মনে আলোচনা চান না, তাই এই শর্তগুলি আরোপ করা হচ্ছে।”

    ধর্নায় রাজনীতি লুকিয়ে আছে? সন্দেহে চন্দ্রিমা

    চন্দ্রিমা বলেন, “গতকাল বিকেল ৫টা থেকে অপেক্ষা করা হচ্ছিল। সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে স্বাস্থ্যসচিব একটি মেল পাঠিয়েছিলেন। সেই মেলের পরেও নানান রকম কথা বলে, কেউ এলেন না। সাড়ে সাতটা পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী বসে ছিলেন। তিনি কিন্তু খোলা মন নিয়ে আলোচনার জন্য বসেছিলেন। এর পর ভোর ৩টে ৪৫মিনিটে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে একটি মেল আসে। আমি প্রশ্ন করতে চাই, ভোর ৩টে ৪৫মিনিটে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে এই ব্যাপারে মেল আসা কি খুব স্বাভাবিক? নিশ্চয়ই নয়। তাহলে কি এর পিছনে রাজনীতি লুকিয়ে আছে? আসলে রাজনীতি লুকিয়ে আছে বলেই এই ধরনের ঘটনাপ্রবাহ আমরা দেখছি।”

    যদিও পরে স্বাস্থ্য ভবনের সামনের ধর্না থেকে জুনিয়র ডাক্তারেরা জানিয়েছেন, তাঁদের আন্দোলনে কোনও রাজনীতির রঙ নেই। তাঁরা বলেন, “আমাদের আন্দোলন অরাজনৈতিক।” প্রশাসন তাঁদের দাবি মেনে নিলেই, তাঁরা আলোচনায় বসতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)