• নবান্ন হোক বা স্বাস্থ্য ভবন, খোলা মনে আলোচনায় ‘অভিভাবক’ মুখ্যমন্ত্রীকেই চান জুনিয়র ডাক্তারেরা
    আনন্দবাজার | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী থাকুন অভিভাবক হিসাবে, চাইছেন আন্দোলনকারীরা

    আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারেরা বলেন, “মঙ্গলবার সন্ধ্যার ইমেলের জবাব এক ঘণ্টায় দেওয়া হয়েছিল। তাতে বোঝা যায় আমাদের সদর্থক ইচ্ছা আছে। আমরা চাই, সব মেডিক্যাল কলেজের প্রতিনিধিদের নিয়ে ৩০ জনের একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে যেতে। আলোচনা সদর্থক করতে অভিভাবক হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী থাকুন। স্বাস্থ্য ভবন বা নবান্ন যে কোনও জায়গায় হোক বৈঠক। কিন্তু মিডিয়ার সামনে আলোচনা হতে হবে। সুরক্ষার দাবি আমাদের মূল দাবি নয়। বাকি দাবিকে মান্যতা দিয়ে বৈঠকে আমরা আগেও রাজি ছিলাম, এখনও আছি।”

    ‘জেদ নয়, অধিকার’

    জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, “এটিকে আমাদের জেদ বলে মনে করা হলে, কিছু বলার নেই। জেদ বললে বিষয়টি ছোট করা হচ্ছে। এই নারকীয় ঘটনার উদ্দেশ্য অজানা। যতক্ষণ না এটি জানতে পারছি, এই অপরাধীদের না ধরা হচ্ছে, ততক্ষণ কর্মবিরতি চালিয়ে যাব। সিবিআই তদন্তের দিকে তাকিয়ে আছি। আমরা সারা রাত অপেক্ষা করবে। আমাদের তরফে ইমেল পাঠানো হচ্ছে, তার জবাবের অপেক্ষা করছি। আমারও চেয়েছি খোলা মনে সবার সামনে আলোচনা হোক। মুখ্যমন্ত্রী অভিভাবক, সেক্ষেত্রে উনি থাকবেন কি না, তার নিশ্চয়তা নেই। এটা কোনও জেদ নয়, এটা অধিকার।”

    ‘রাজনীতি করছি না, আমরাও চাই কাজে ফিরতে’

    আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারেরা বলেন, “৯৩ হাজার ডাক্তারের মধ্যে জুনিয়র ডাক্তারের সংখ্যা সাড়ে সাত হাজার। যেখানে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে না থাকায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, তাহলে বুঝতে হবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার যে চূড়ান্ত বেহাল দশা তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কর্মস্থলে নিরাপত্তার পাশাপাশি আমাদের মূল দাবি নির্যাতিতার বিচার। দ্রুত সমস্যা সমাধান করে কাজে ফিরতে চাই আমরাও। ভোর বেলা মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে ইমেল করায় কোনও রাজনীতি ছিল না। যে ভাবে রোগীদের জন্য আমরা ভোর চারটেয় ছুটে যাই, সে ভাবেই ইমেলটি করা হয়েছে। যাঁরা রাজনীতি করার অভিযোগ তুলছেন, তাঁরাই রাজনীতি করছেন। আমরা প্রথম দিন থেকেই পাঁচ দফা দাবি করছি।”
  • Link to this news (আনন্দবাজার)